খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতিকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার পর ভিসিসহ ৩ জনকে কুয়েট মেডিক্যাল সেন্টারে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ব্যর্থতার দায় স্বীকার এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুয়েট জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা ডিভিশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহাদুজ্জামান শেখ।
আরও পড়ুন:
কুয়েটে ধারালো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করা যুবদল নেতা বহিষ্কারথমথমে কুয়েট, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকুয়েটে ছাত্রদলের পর্যবেক্ষক দল প্রেরণ, সংবাদ সম্মেলন বিকেলেকুয়েট ভিসির পদত্যাগসহ ৫ দফা না মানলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের আল্টিমেটাম
তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার বিকেলে মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন ভিসি। সেখানে উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকও ছিলেন। এরপরই ছাত্ররা সেখানে তাদের অবরুদ্ধ করেন। বেলা পৌনে ১১টায়ও তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ে সিন্ডিকেট সভার আহ্বান করা হয়।’
মঙ্গলবার রাতে কুয়েটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ছাত্ররা ভিসি, উপ-উপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে আলটিমেটাম দেয়। বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে কুয়েটের সকল প্রকার ক্লাস, পরীক্ষাসহ সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় মঙ্গলবার। পরে রেলিগেট, তেলিগাতিসহ আশপাশের বিএনপি নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সঙ্গে যোগ দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদের বেশিরভাগকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।