সুস্থ জীবন কাম্য | মতামত নিউজ

সুস্থ জীবন কাম্য

চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিকার হয় না।

মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হলো চিকিৎসা। কিন্তু এই মৌলিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে রয়েছে হরেক রকম প্রতিবন্ধকতা। ভুল চিকিৎসা, রোগ নির্ণয়ে চিকিৎসকদের ব্যর্থতা, চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে রোগীদের সীমাবদ্ধতা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিরাজ করছে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। পত্র-পত্রিকায় এসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি হয়।

চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিকার হয় না। আমরা প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নানাভাবে আক্রান্ত এবং অবধারিত ক্ষতিগ্রস্ত! ২০২২ খিষ্ট্রাব্দের জুন মাসে ‘বাংলাদেশের হাসপাতালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশার দায় কার’ শিরোনামে বিবিসি বাংলায় এক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থার এমন এক চিএ ফুঁটে উঠেছে, যেটা একাধারে দুঃখজনক এবং বেদনা বিধুর!

বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ভুল চিকিৎসা, চরম অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের জেরে কথায় কথায় ধনী ও সচ্ছল ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবার জন্য চলে যাচ্ছেন দেশের বাইরে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশে থাকা মোট বাংলাদেশি পর্যটকের ২৯ শতাংশই বিভিন্ন দেশে চিকিৎসা নিতে অর্থ ব্যয় করেছে।

অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও আমাদের থেকে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে এবং সেখানে প্রতিবছর বাংলাদেশ ছাড়াও ইরাক, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও আফ্রিকান দেশগুলোর একটা বড় অংশ চিকিৎসা নিতে যায়। যেসব রোগ নির্ণয়ে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের ভুল হয়, সেগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্নায়বিক রোগ।

স্নায়বিক রোগগুলো একটি জটিল চিকিৎসা অবস্থার প্রতিনিধিত্ব করে, যা স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতাকে মৌলিকভাবে ব্যাহত করে। এই রোগগুলো মানুষের মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং স্নায়ু নেটওয়ার্কগুলোকে প্রভাবিত করে। অনন্য নির্ণয়, চিকিত্সা এবং রোগীর যত্নের চ্যালেঞ্জগুলোর ওপর নির্ভর করে রোগীর সুস্থতা।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে প্রতিবছর ১৩ এপ্রিল আন্তর্জাতিক এফএনডি (কার্যকরী নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার) সচেতনতা দিবস পালিত হয়। দিবসটির লক্ষ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা, এফএনডি প্রতিরোধ, চিকিৎসা এবং পুনরুদ্ধারের জন্য গবেষণার অগ্রগতি করা।

দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে স্নায়বিক রোগ সম্পর্কে কোনো পরিসংখ্যান নেই। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকের খবরের আলোকে জানা যায়, দেশে বয়স্ক মানুষের স্নায়বিক রোগ, পারকিনসন্সের মতো মস্তিষ্ক ক্ষয়জনিত রোগ বা বিভিন্ন ধরনের ডিমেনসিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। স্নায়বিক রোগেই এখন দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হচ্ছে। এসব রোগের চিকিৎসায় দেশে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল ও যন্ত্রপাতির মারাত্মক ঘাটতি রয়েছে।

বিভিন্ন স্নায়বিক রোগের মধ্যে রয়েছে;-আলঝেইমার, মাইগ্রেন, এপিলেপসি, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, পারকিনসন, অ্যাপ্রাক্সিয়া, অ্যাগনোসিয়া, অ্যাফেসিয়া, ডিসারথ্রিয়া। এই সবগুলো মস্তিষ্কের স্নায়বিক রোগ। এ ছাড়া মেরুদণ্ডের কিছু স্নায়বিক রোগ রয়েছে। যেমন-পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি, ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া, ডাইসঅটোনোমিয়া, মাল্টিপল সিস্টেম অ্যাট্রোফি, অ্যামিওট্রফিক ল্যাটেরাল স্ক্লেরোসিস-বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ওয়ার্ল্ড হেলথ জার্নালে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা মূলক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে জানা গেছে, বিশ্বের প্রধান স্নায়বিক রোগের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে পারকিনসন্স। বিশ্বব্যাপী ১০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।

রোগটির ভয়াবহতার কথা আলোচনায় আনার জন্য ১১ এপ্রিল বিশ্ব পারকিনসন্স দিবস পালন করা হয়। যদিও, আমাদের দেশে এই দিবসটির আনুষ্ঠানিক কোনো স্বীকৃতি নেই! চিকিৎসকদের অনেকেই এই রোগটি সম্পর্কে সুষ্ঠু ধারণা রাখেন না। এমনকি অনেক নিউরো বিশেষজ্ঞদের ক্ষেত্রেও ধারণা না রাখার বিষয়টি প্রযোজ্য।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মস্তিষ্কের রোগ সম্পর্কিত বিষয়ক বিভিন্ন অধ্যায় ঘেটে জানা গেছে, পারকিনসন্স মূলত একটি মস্তিষ্কের রোগ। কোনো কারণে মস্তিষ্কের সাবস্ট্যান্টিয়া নিগ্রা নামক অংশের স্নায়ু কোষের ক্ষতির কারণে ডোপামিনের উৎপাদন কমে গেলে বা সমস্যা হলে এই রোগ হয়।

আসলে, মস্তিষ্কের এই অংশে ডোপামিন তৈরি হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি তার স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে ধীরগতি অনুভব করতে শুরু করে এবং তার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতার অভাব এবং ভারসাম্য সম্পর্কিত সমস্যা অনুভব করে। সেই সঙ্গে মাংসপেশিতে শক্ত হওয়া বা এর পাশাপাশি শরীর কাঁপানো, হাঁটা, কথা বলা, ঘ্রাণ ও ঘুমের সমস্যা এবং পায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য ও অস্থিরতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। পারকিনসন্স রোগের লক্ষণগুলো প্রায়শই শরীরের একপাশে বা একটি অঙ্গ থেকে শুরু হয়। কিন্তু এই রোগের প্রভাব যতো বাড়তে থাকে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও এর প্রভাব পড়তে থাকে। পারকিনসন্সের উন্নত পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনযাত্রার মান ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়।

২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে যেহেতু এসব রোগ সম্পর্কে কোনো গবেষণা নেই, সে কারণে পারকিনসন্স রোগীর কোন পরিসংখ্যান সংশ্লিষ্ট কেউ বলতে পারে না। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল এর একজন চিকিৎসক হুমায়ুন কবির হিমু তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন, স্নায়ুর নানা সমস্যা নিয়ে আসা ৪০ জন রোগী যদি তিনি দেখেন, তার মধ্যে গড়ে কমপক্ষে পাঁচজন থাকে পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত। এই সংখ্যাটাকে তিনি উদ্বেজনক বলে মনে করেন। চিকিৎসক হুমায়ুন কবির হিমু জানিয়েছেন, পারকিনসন্স রোগীদের প্রায় ৮৫ শতাংশের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ জানা যায় না।

পাঁচ শতাংশের ক্ষেত্রে জিনগত কারণ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। অর্থাৎ পূর্বপুরুষের কেউ এই রোগে আক্রান্ত ছিলো, তার কাছ থেকে রোগটি এসেছে। এ ছাড়া দশ শতাংশের মধ্যে পারকিনসন্সের লক্ষণ প্রবল থাকে। সেটিকে পারকিনসনিজম বলা হয়। এটি সাধারণত স্ট্রোক, মস্তিস্কে সংক্রমণ, মস্তিস্কে আঘাত এবং উইলসন ডিজিজ-এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে পারকিনসনিজম হয়।

অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউটের একদল বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়ে বলেছেন, মানুষের পেটের ভেতরে পরিপাক নালীতে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থেকে এই রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তারা দেখেছেন, এসব ব্যাকটেরিয়া থেকে কিছু রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়, যা মস্তিস্কের কিছু অংশকে অত্যন্ত উদ্দীপ্ত করে তোলে।

সে কারণে মস্তিস্কের ওই অংশের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে মস্তিস্কের একটা অংশ ঠিকমতো কাজ বন্ধ করে দেয় এবং এসব স্নায়ুকোষের মৃত্যু হয়। আর এই পরিস্থিতিতে শরীরে যে অবস্থা হয়, সেটাকে পারকিনসন্স বলেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার ওই গবেষকরা।

বার্সেলোনার নিউরোলজি এবং নিউরোসার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যান্টোনিও রুসি এক নিবন্ধে লিখেছেন, বর্তমান বিশ্বে অনেকটা পাল্টে গিয়েছে স্বাস্থ্যের ছবি। আগেকার সময় যে যে রোগে মৃত্যুর হার ছিলো, সেই রোগগুলোর বেশ কিছু এখন তালিকায় পিছিয়ে গিয়েছে। তবে থেমে যায়নি।

অন্য কয়েকটি রোগের কাছে পরাস্ত বা স্থানান্তরিত হয়েছে মাত্র। আর সেগুলোর মধ্যেই রয়েছে স্নায়ুর রোগ। স্নায়ুবৈকল্যের কারণে বেশ কিছু রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই রোগগুলোর হার বর্তমানে বেড়েই চলেছে।

সম্প্রতি ল্যানসেট নিউরোলজি জার্নালের একটি গবেষণায় তেমনটাই বলা হয়েছে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের একটি পরিসংখ্যান পেশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন মানুষ নিউরোলজিকাল ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অর্থাৎ স্নায়ুজনিত রোগে ভুগছিলেন তারা।

সেই রোগেই মৃত্যুর সংখ্যাও ছিলো বেশি। নিউরোলজিকাল ডিসঅর্ডারগুলোর মধ্যে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলো। এসব দেশে জনসংখ্যার পাশাপাশি বেড়েছে পরিবেশের দূষণ, জীবনযাপনের নানান সমস্যা। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ১৯৯০ থেকে ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৩০ বছরের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এই ৩১ বছরের সময়কালে ১৮ শতাংশ বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুজনিত রোগের হার।

পাশাপাশি কমেছে মানুষের আয়ুও। আগে ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে ৩৭৫ মিলিয়ন বছর আয়ু কমতো। বর্তমানে তা বছরে ৪৪৩ মিলিয়ন এসে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ আগের তুলনায় আরো কমছে মানুষের আয়ু।

গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরিস অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টর স্টাডিজ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুসারে জনসংখ্যার মধ্যে বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যার ফলে মোট আয়ুও কমতির পথে। স্নায়বিক স্বাস্থ্যহানির পেছনে বেশ কিছু রোগের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানান গবেষকরা।

চিকিৎসা সেবাদান অত্যন্ত মানবিক পেশা। কিন্তু অবকাঠামোর অভাব, সংশ্লিষ্টদের অদক্ষতা, দায়িত্ববোধের ঘাটতির পাশাপাশি অব্যবস্থার দায় সরকার এড়াতে পারে না। চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপর্যয় রোধে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই। কী করে চিকিৎসাকেন্দ্রের নামে এতো ‘বাণিজ্যকেন্দ্র’ গড়ে উঠছে, যা চরম জীবনঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে-এ প্রশ্নের জবাব দেয়ার দায়ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এড়াতে পারে না। চিকিৎসাকেন্দ্রে অনুশাসন ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চিকিৎসায় অবহেলাজনিত কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের দৃষ্টান্তযোগ্য প্রতিকার নিশ্চিত করতে হবে।

দেশের চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে যদি যথাযথ সংস্কার অবিলম্বে না করা হয় তাহলে দেশের সামগ্রিক উন্নতি অধরাই রয়ে যাবে। নিত্য নতুন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সংখ্যা না বাড়িয়ে আধুনিক কারিকুলামের সঙ্গে যুক্ত, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব পরিচালনাকারী বাড়াতে হবে। যেহেতু এটা টেকনিক্যাল শিক্ষানির্ভর ব্যবস্থা তাই মেডিক্যাল কলেজগুলোয় বাড়াতে হবে ল্যাবরেটরির সংখ্যা।

এ ছাড়া আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্টের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে কেউ শুধু বই মুখস্থ করে, যথাযথ প্রশিক্ষণ ছাড়াই নামমাত্র চিকিৎসক না হন। চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণায় আরো জোর দিতে হবে, বাড়াতে হবে প্রণোদনা। এই কাজগুলো যদি দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে হয়তো আমরা আমাদের প্রিয়জনদের আরো কিছুদিন ধরে রাখতে পারবো। যাপিত জীবনে অসুস্থতা না থাকলে সেটির প্রভাব পরিবার থেকে শুরু করে দেশের জন্যও মঙ্গলকর হবে। সুতরাং সকলের সুস্থ জীবন কাম্য।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক