ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ | কারিগরি নিউজ

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ

কলেজের তিন বিভাগে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালাতে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে কলেজ প্রশাসন একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কলেজের অ্যাকাডেমিক কাম প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভায় ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, কলেজের তিন বিভাগে অন্তত ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালাতে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভায় জেনারেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ৫ আগস্টের আগে কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা মিছিলে ডাকলে অনেক শিক্ষার্থী অনিচ্ছা থাকার পরও যেতে বাধ্য হতেন। কিন্তু এখন কোনো নেতা কলেজে নেই। তাদের কার্যকলাপও নেই। তবে কর্মী রয়েছে। হঠাৎ করে ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালানোয় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে অনেক শিক্ষার্থী। ফলে উত্তেজনা দেখা দেয়। কলেজ প্রশাসনের নির্দেশে ছাত্রাবাস ছেড়ে বাড়িতে চলে গিয়েছি।

ছাত্রাবাস ছেড়েছেন সিভিল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অমিত রায়। তিনি বলেন, কলেজে কখনো উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হলে ভয় আর আতঙ্কে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এবারও উত্তেজনার ঘটনায় একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা মতো হল ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ময়মনসিংহের সদস্যসচিব আলী হোসেন বলেন, প্রশাসন হলগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র পায়। ওই অবস্থায় ঘটনার সূত্রপাত হয়। আমরাও সেখানে জড়ো হয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী মনে করেছিল কলেজে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী রয়েছে। মূলত এমন সন্দেহে হলে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে কলেজ উত্তপ্ত হয়। রাতে খবর পেয়ে কলেজে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।