ভর্তি ফি শিক্ষকদের পকেটে | ভর্তি নিউজ

ভর্তি ফি শিক্ষকদের পকেটে

প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় ১০ সহকারী শিক্ষকসহ একজন অফিস সহকারী ও নৈশপ্রহরী এবং একজন পরিচ্ছন্ন কর্মীর স্বাক্ষরিত রেজুলেশনে লেখা হয় বার্ষিক পরীক্ষার আয় তন্ময় পাল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু সব শিক্ষক বলেছে আমাদের প্রায় দুই বছরের বেতন বাকি আমরা পাওনা টাকা নেওয়ার পর অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে।

#ভর্তি

শরীয়তপুর গোসাইরহাট চরমাইজারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা ও ভর্তির টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। গত বছরের ২৮ নভেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষায় আয়ের অর্থ সহকারী প্রধান শিক্ষক তন্ময় পাল শিক্ষকদের নিয়ে রেজুলেশন করে অনুমোদন দিয়ে বিভিন্ন খাতে খরচ করেন।

প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় ১০ সহকারী শিক্ষকসহ একজন অফিস সহকারী ও নৈশপ্রহরী এবং একজন পরিচ্ছন্ন কর্মীর স্বাক্ষরিত রেজুলেশনে লেখা হয় বার্ষিক পরীক্ষার আয় তন্ময় পাল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জমা দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু সব শিক্ষক বলেছে আমাদের প্রায় দুই বছরের বেতন বাকি আমরা পাওনা টাকা নেওয়ার পর অবশিষ্ট টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে।

শিক্ষকরা একমত হন যেকোনো সমস্যা হলে এ বিষয়ে সবাই একমত হয়ে জবাব প্রদান করব নিপা রানী রায় শরীফ হোসেনের বিএ প্রশিক্ষণের ব্যাপারে অনুমতি প্রদানের ব্যাপারে সবাই একমত পোষণ করেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী টাকা অনলাইনে নেওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু শ্রেণি শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের থেকে হাতে নগদে রসিদের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করেন।

তবে ওই টাকা বিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করেননি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি বা প্রধান শিক্ষককে অবহিত না করে হাতে নগদ রেখে বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষার খরচ প্রিন্টিং আসবাবপত্র ও শিক্ষকদের বেতনভাতা হিসাবে তারা নিয়েছেন এবং অবশিষ্ট টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখেননি।

নীতিমালা অনুযায়ী বিদ্যালয় ফান্ডের টাকা দুই দিনের বেশি রাখার নিয়ম না থাকলেও এখানে ব্যতিক্রম হয়েছে। ইতোমধ্যে ভর্তি ও বার্ষিক পরীক্ষার টাকা বেতন হিসাবে কেটে নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের পরিচালনার স্বার্থে বিভিন্ন কালেকশনের টাকা খরচ করেছি।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৩০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষা ও ভর্তিসহ বিভিন্ন ফি বাবদ আনুমানিক ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৮শত ৫০ টাকা পান। কিন্তু এই টাকা শ্রেণি শিক্ষকদের কাছেই রয়েছে। ওই টাকা শিক্ষক কাউন্সিলে রেজুলেশন করে তাদের বেতন হিসাবে নিয়ে নেয়। এ রেজুলেশনের কোনো বৈধতা নেই বলে জানান মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমি অসুস্থতার কারণে ওই সময়কালে নিয়মিত আসতে পারিনি তাই স্কুলের ভর্তি ও বার্ষিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য কালেকশনের টাকার বিষয় আমাকে কেও জানায়নি। বিদ্যালয়ের আয়ের টাকা খরচ বা তাদের কাছে রাখার কোনো বিধান নেই।

#ভর্তি