অভ্যুত্থানের পর দলীয় ভিত্তিতে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

অভ্যুত্থানের পর দলীয় ভিত্তিতে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে

‘ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দলীয়ভাবে দিতে গিয়ে ব্যালেন্স করতে হয়েছে। ব্যালেন্স করতে গিয়ে এমন হয়েছে যে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি বিএনপির হলে একজন বা দুজন প্রোভিসি জামায়াতের, আবার ভিসি জামায়াতের হলে একজন বা দুজন প্রোভিসি বিএনপির।'

#কামরুল হাসান মামুন #বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, ‘অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশ ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দেয়া হয়েছে দলীয় ভিত্তিতে। যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দল এখন ক্ষমতায় নাই, তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জামায়াত-বিএনপির শিক্ষকদের মধ্যে থেকেই অধিকাংশ ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দিয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া একটি পোস্টে এসব কথা লিখেছেন তিনি।

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন আরো বলেছেন, ‘ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগ দলীয়ভাবে দিতে গিয়ে ব্যালেন্স করতে হয়েছে। ব্যালেন্স করতে গিয়ে এমন হয়েছে যে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি বিএনপির হলে একজন বা দুজন প্রোভিসি জামায়াতের, আবার ভিসি জামায়াতের হলে একজন বা দুজন প্রোভিসি বিএনপির। এর ফলে ভিসি প্রোভিসি দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। যার ফলে প্রশাসনে এক ধরনের বিভাজন চলছে। কুয়েটে যা ঘটেছে তা অনেকটা এমনই। ফলে সেখানে ভিসির সঙ্গে প্রোভিসিকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে।’

কুয়েটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরো বলেন, ‘বরিশালেও এমন দ্বন্দ্ব চলছে। আর তেমন প্রকাশ্য নয়, তবে এখনো কিন্তু অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই দ্বন্দ্ব চলমান এবং এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষতি হচ্ছে। বর্তমান বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এটি এখন একটা মারাত্মক সংকট। কেন দল দেখেই দিতে নিয়োগ হলো? সুযোগ ছিলো দেশ এবং বিদেশ থেকে পরীক্ষিত স্কলারদের নিয়োগ দেয়ার। সেই সুযোগ আমরা হারালাম।’

#কামরুল হাসান মামুন #বিশ্ববিদ্যালয়