নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (এসএমইউ) সাবেক উপাচার্য (ভিসি), রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। পাশাপাশি অভিযুক্ত ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
আদালতের সেরেস্তাদার কৃপাসিন্ধু দাশ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলায় অভিযুক্ত ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।’
এর আগে রোববার দুদকের সিলেটের উপসহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসাইন ইমন মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অভিযোগ আমলে নিয়ে ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে একটি তদন্ত করে।
তদন্তে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর (মো. হক মঈনুল চৌধুরী) বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে অ্যাডহক ভিত্তিতে মোট ২২০ জনকে সম্পূর্ণ অস্থায়ীভাবে নিয়োগ ও তাঁদের মেয়াদ বাড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। সাবেক উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ক্ষমতার অপব্যবহার করে অতিরিক্ত ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়া নিয়োগ, শিক্ষাজীবনে তৃতীয় বিভাগ থাকার পরেও নিয়োগ, অ্যাডহক থেকে পদোন্নতি এবং ভিন্ন ডিগ্রিধারী হওয়া সত্ত্বেও নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।