নষ্ট ছাত্র তৈরি হওয়ায় নষ্ট শিক্ষক তৈরি হয়েছে | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

নষ্ট ছাত্র তৈরি হওয়ায় নষ্ট শিক্ষক তৈরি হয়েছে

‘আর কাদের ভিসি, প্রোভিসি ও কলেজের অধ্যক্ষ বানাতো; সেই খতিয়ান ঘাটলে শিক্ষাপ্রেমের বিষয়টা আরো পরিষ্কার হবে। এই খতিয়ান কি ক্লাসিফাইড ছিলো? ডাটা সবার জানা ছিলো।

#কামরুল হাসান মামুন #শিক্ষক #শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, ‘ধারাবাহিকভাবে নষ্ট ছাত্র তৈরি হওয়ার কারণে নষ্ট শিক্ষক তৈরি হয়েছে। নষ্ট শিক্ষকরা আরো নষ্ট ছাত্র তৈরি করেছে।’

বুধবার (২৩ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইয়েড ফেসবুক আইডি থেকে এই বিষয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।

শিক্ষায় বিগত সরকারের ভূমিকার বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘গত আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে কতটা ভালোবাসত তার একটা খতিয়ান দেই। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগ সরকার মানে দ্বিতীয় মেয়াদের আওয়ামী লীগ শিক্ষায় বরাদ্দ দিয়েছিলো জিডিপির ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে দেয় ২ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক তৃতীয় মেয়াদে বরাদ্দ দেয় ২ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০২০ খ্রিস্টাব্দে দেয় ২ দশমিক ১১ শতাংশ, এর পরের বছর দেয় ২ দশমিক ৯শতাংশ, তার পরের বছর দেয় ২ দশমিক ১শতাংশ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে দেয় ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেয় ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, আর আওয়ামী লীগের শেষ বছরে এসে অর্থাৎ চলতি বছরে বরাদ্দ দিয়েছিলো সর্বনিম্ন ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ!’

তিনি আরো বলেন, ‘আর কাদের ভিসি, প্রোভিসি ও কলেজের অধ্যক্ষ বানাতো; সেই খতিয়ান ঘাটলে শিক্ষাপ্রেমের বিষয়টা আরো পরিষ্কার হবে। এই খতিয়ান কি ক্লাসিফাইড ছিলো? ডাটা সবার জানা ছিলো। ওই সরকার সিস্টেমেটিক্যালি শিক্ষাকে ধ্বংস করার পরেও, দেশের বিখ্যাত শিক্ষাবিদরা এসবের প্রতিবাদ তো করেইনি, উল্টো তোষামোদি করে গেছেন। যদি সরকারকে থামাতেন, তাহলে আপনাদের আজকের পরিণতি দেখতে হতো না।’

শিক্ষকতার বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ধারাবাহিকভাবে নষ্ট ছাত্র তৈরি হওয়ার কারণে নষ্ট শিক্ষক তৈরি হয়েছে। নষ্ট শিক্ষকরা আরো নষ্ট ছাত্র তৈরি করেছে। তার ফলেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুদিন পরপর ঢাকা কলেজ আর সিটি কাজের মারামারি দেখি। শুধু এই দুই কলেজ না, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হলের ছাত্রদের মাঝেও দিনভর বা রাতভর মারামারিও আমরা দেখেছি। আবার বিশ্ববিদ্যালয় ও পাশের গ্রাম বা মার্কেটের কর্মচারীদের মধ্যেও মারামারি অনেক দেখেছি। পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হয়েছে বা পরীক্ষায় কঠিন গার্ড দিয়েছে বিধায় পরীক্ষা খারাপ হওয়ার কারণে ভাঙচুর। আবার কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রাস্তাঘাট বন্ধ বা ভাঙচুর।’

সভ্যতার প্রশ্ন তুলে এই অধ্যাপক বলেন, ‘এমনকি অমুক ডিগ্রিকে অনার্স বা তমুক ডিগ্রিকে মাস্টার্সের সমমানের দাবিতে সড়কে আন্দোলন। এগুলো কি শিক্ষার মান সার্বিকভাবে কতটা খারাপ, তার একটা ইনডেক্স না? দিন দিন এসব বাড়ার অর্থ হলো, আমরা দিন দিন অসভ্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছি। এথেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে আমাদের গভীরভাবে ভাবতে

#কামরুল হাসান মামুন #শিক্ষক #শিক্ষার্থী