আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।
চাকরি প্রত্যাশীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি কথা বলেন।
বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর আগের মতো একশো’তে নেওয়া হবে বলেও জানান পিএসসির চেয়ারম্যান।
পিএসসি বলছে, যারা ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় বসবে তাদের পূর্বের বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ১৬ জুন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তাই পরীক্ষা পেছানোর দাবি অযৌক্তিক।
পিএসসিও মনে করে মৌখিক পরীক্ষার দুইশ নম্বর পরীক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই ৪৭তম বিসিএস থেকেই মৌখিক পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে।
ড. মোবাশ্বের মোনেম বলেন, যেহেতু বিজ্ঞাপনে দেওয়ার সময় ২০০ নম্বর ছিল এবং হঠাৎ করে যদি ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়, তাহলে হইতো মামলার একটা সুযোগ তৈরি হয়।
এছাড়াও পরীক্ষার নম্বর উন্মুক্ত করে দিতে চায় কমিশন। অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম আরও বলেন, সব পরীক্ষার নম্বর প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে এগুলো বিধি পরিবর্তন না করে করা সম্ভব নয়। তাই, বিধি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পিএসসিকে সংস্কার করতে প্রতি বছর একটি বিসিএস কার্যক্রম শেষ করা, পুলিশ ভেরিফিকেশনে স্বচ্ছতা আনাসহ নানা কাজ করা হচ্ছে। যা চাকরি প্রত্যাশীদের চাওয়ার সাথে মিলে যায় বলে মনে করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
ড. মোবাশ্বের মোনেম জানান, ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে নিয়োগ কার্যক্রম ও মৌখিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে। তার মতে, চাকরি প্রত্যাশীদের চাওয়া পাওয়ার মেলবন্ধনেই সামনের দিকে এগুতে চায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন।