সরকারে গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে বিএনপি | বিবিধ নিউজ

সরকারে গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে বিএনপি

‘বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতৃত্ব ছিলেন, তরুণ সহকর্মী ছিলেন, তাদের অনেকেরই আন্দোলন–সংগ্রামের কারণে বয়স পার হয়ে গেছে। এটার ভুক্তভোগী শুধু ছাত্রদল নয়, এর বাইরে অনেক মানুষ আছেন, যারা স্বৈরাচারের রাজনীতি সমর্থন করতেন না। কিন্তু সরকারের পক্ষে না থাকায় তাদেরও চাকরি গেছে বা তাদের চাকরি দেয়নি। এই বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে।’

#বিএনপি #তারেক রহমান #ভাতা

বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশের শিক্ষিত কর্মহীন ব্যক্তিদের জন্য বেকার ভাতা চালু করার বিষয়ে ভাবছে বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যা চেষ্টা করছি, তা হলো- যারা চাকরি পাননি, তাদের জন্য একটা শিক্ষিত বেকার ভাতার ব্যবস্থা করার। এটা এক বছর পর্যন্ত থাকবে। এর মধ্যে সরকার তাদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করবে। শিক্ষিত বেকারেরাও নিজেরাও তাদের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করবেন।’

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রংপুর, নীলফামারী ও সৈয়দপুর জেলার (বিএনপির সাংগঠনিক জেলা) সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা জানান তারেক রহমান।

বিগত সরকারের সময়ে সরকারি ও আধা সরকারি চাকরিতে দলীয়করণ হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতৃত্ব ছিলেন, তরুণ সহকর্মী ছিলেন, তাদের অনেকেরই আন্দোলন–সংগ্রামের কারণে বয়স পার হয়ে গেছে। এটার ভুক্তভোগী শুধু ছাত্রদল নয়, এর বাইরে অনেক মানুষ আছেন, যারা স্বৈরাচারের রাজনীতি সমর্থন করতেন না। কিন্তু সরকারের পক্ষে না থাকায় তাদেরও চাকরি গেছে বা তাদের চাকরি দেয়নি। এই বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে।’

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা সংক্রান্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি বলেণ, ‘ ‘সংসদে নারীদের জন্য যে ৫০ আসন আছে, সেগুলো বৃদ্ধি করা উচিত বলে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা দলের থেকে প্রস্তাব দিয়েছি, ৫০টিকে বৃদ্ধি করে ১০০টিতে নিয়ে যেতে চাই। এটি আলোচনার বিষয়, যে গণতান্ত্রিক দলগুলো একসঙ্গে আন্দোলন করেছিলাম, আমরা সবাই মিলে আলোচনা করে ঠিক করব।’

জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য ৫ শতাংশ আসন সংক্ষরণের দাবির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কোনো মানুষকে তার ধর্ম–বর্ণ দিয়ে বিবেচনা করি না। যারা বাংলাদেশের নাগরিক, আমরা তাদের বাংলাদেশি হিসেবে দেখি। এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘিষ্টের বিষয় নেই। রাষ্ট্র ও সংবিধান একজন নাগরিককে যে অধিকার দেয়, সেই বিচারে সবার সমানভাবে সবকিছু পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’

তিস্তা মহাপরিকল্পনার সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘রংপুর বিভাগের তিন কোটি মানুষ কম-বেশি তিস্তার সঙ্গে যুক্ত। কাজেই তিস্তা আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। যেভাবেই হোক আমাদের তিস্তার সমস্যার সমাধানে একটি জায়গায় পৌঁছাতে হবে। আমরা দেখেছি, বিগত ১০-১৫ বছর তিস্তাকে নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। এই রাজনীতি মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন করেনি। আগামী দিনে বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে যেকোনো মূল্যে, যেভাবে করলে মানুষের জন্য ভালো হবে, আমরা সেভাবেই তিস্তা প্রকল্প গ্রহণ করব।’

এছাড়াও প্রতিবছর একজন প্রান্তিক কৃষককে একটি ফসল চাষের খরচ বাবদ পুরোপুরি সহায়তা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তারেক রহমান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির উদ্যোগে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু)। সঞ্চালনা করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় আলোচক ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর (পাভেল), বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আসাদুল হাবিব (দুলু), বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক মোরশেদ হাসান খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সহ–আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা প্রমুখ।

#বিএনপি #তারেক রহমান #ভাতা