বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন ইএফটিতে প্রদানের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সবার মধ্যেই আনন্দের বন্যা বইছিলো। কিন্তু বিরম্বনা দেখা দিয়েছে প্রথম ধাপে যথন বেতন এলো না ঠিক তখন থেকে। ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ ধাপ শেষে চলছে ৫ম ধাপের প্রস্তুতি। এর মধ্যে গত ১২ ফেব্রুয়ারি মাউশি অধিদপ্তর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে ১ম ধাপ বাদে সবার সংশোধন করতে হবে। ভালো কথা। সংশোধন করা হবে। কিন্তু যাদের নামে অমিল, জন্ম তারিখ অমিল তারা সংশোধন করবে। যাদের ডট-এ অমিল তাদের নির্দেশনাটা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। এটা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আমার দৃষ্টিতে যে বিষয়গুলো স্পষ্ট করলে আমাদের মনের প্রশ্ন শেষ হবে। [inide-ad]
১. ইএফটিতে ডট থাকবে নাকি থাকবে না। মানে এনআইডি, এসএসসি সনদ ও এমপিও শিট কোনোটাইতেই ডট গ্রহণ করা হবে না। যদি কোনোটায় ডট থাকলেও সমস্যা না হয়। সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সর্বশেষ স্মার্ট এনআইডিতে কোনো ডট রাখা হয়নি। ব্যাংকেও ডট রাখছে না। কিন্তু এমপিও শিট ও এসএসসি সনদে ডট আছে। তারা কী করবেন।
২. অনেকের সব মিল থাকলেও ব্যাংকে স্টাপিং ভুল করেছিলো। সেটা ইতোমধ্যে অধিকাংশ জন ঠিক করিয়ে এনআইডি মোতাবেক করেছেন। তাহলে আদেরকে কি সংশোধন আবেদন করতে হবে।
৩. যাদের সংশোধন হবে না তাদের বেতন এপ্রিল/২৫ থেকে বন্ধ হবে। যাদের এনআইডি বা সনদ সংশোধন করতে হবে তাদেরটা আগামী ৬ মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে। কিন্তু এই সময়ে এনআইডি সংশোধন ক্ষেত্র বিশেষে হলেও সনদ হবে বলে মনে হয় না। তাই যাদের এনআইডি ও সনদে অমিল তাদের বিকল্প কোনো পন্থা বের করা সম্ভব হয় কি না। ৪. যাদের কোনো অমিল নেই কিন্তু গত ৪ ধাপে বেতন বন্ধ তাদের কী করণীয়। ৫. ইএফটি প্যানেলে সমস্যা স্পষ্ট করলে সব থেকে ভালো হয়। একই সঙ্গে যাদেরটা প্যানেলে সংশোধন যোগ্য তাদেরকে সেখানেই সংশোধনের সুযোগ দিন।[inide-ad-2]
হাজারো শিক্ষক-কর্মচারীর চাওয়া কথাগুলো লেখা হবে। শিক্ষকদের সংসার চলে এই বেতনে। তাদের বেতন বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন দুই কারণে। প্রথমত তাদের বেতন কবে চালু হবে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা। আর দ্বিতীয়ত বেতন না পেলে সংসার চলবে কী দিয়ে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের সহানুভূতির সঙ্গে দেখার অনুরোধ করছি।
লেখক: জ্যেষ্ঠ প্রভাষক, মনোবিজ্ঞান, হরিপুর দূর্গাদাস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনা