কলেজছাত্র সুমন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ | কলেজ নিউজ

কলেজছাত্র সুমন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

শেরপুর শহরের কসবা বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার হতদরিদ্র কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে ও শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সুমন এবং শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার শিক্ষক মো. আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নি আক্তার একসঙ্গে পড়ার সুবাদে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়।

#কলেজ

শেরপুরে ত্রিভুজ প্রেমের কারণে কলেজছাত্র সুমন হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আদালতের সামনে এসব কর্মসূচি হয়। পরে দোষীদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত সুমনের বাবা নজরুল ইসলাম, মা কল্পনা বেগম, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মামুনুর রহমান, সদস্যসচিব শাহনুর রহমান সাইম, মুখপাত্র ফারহান ফুয়াদ তুহিন, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা জানান, শেরপুর শহরের কসবা বারাকপাড়া নিমতলা এলাকার হতদরিদ্র কৃষক মো. নজরুল ইসলামের ছেলে ও শেরপুর সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সুমন এবং শহরের বাগরাকসা কাজীবাড়ী পুকুরপাড় এলাকার শিক্ষক মো. আজিম উদ্দিনের মেয়ে আন্নি আক্তার একসঙ্গে পড়ার সুবাদে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু আন্নি সুমনকে পাশ কাটিয়ে শহরের সজবরখিলা এলাকার পুলিশ সদস্য মো. ফোরকান আলীর ছেলে রবিনের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলে।

এদিকে আন্নি আক্তার গত ৪ নভেম্বর বিয়ের কথা বলে সুমনকে ডেকে রবিনের বাড়িতে নিয়ে হত্যা করে। এরপর কয়েকজনের সহযোগিতায় বাড়ির উঠানে তার লাশ মাটিচাপা দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত বছরের ১১ নভেম্বর রাতে রবিনের বাড়ির উঠানের সবজি মাচার নিচে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে।

ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রবিন, আন্নি ও তার বাবা আজিম মাস্টারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন রবিনের বাবা-মা ও আন্নির মা। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা।

এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবের রাফি বলেন, পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটির তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তদন্তে আরও নাম উঠে এলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

#কলেজ