ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের মধ্য থেকে ৩০ শতাংশ জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করেছেন ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রীরাও পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
বুধবার দুপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মিডটার্মের পরীক্ষা বর্জন করে ইনস্টিটিউটের সামনে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা দাবি করছেন তাদের মধ্য থেকে ৩০ শতাংশ পদোন্নতি পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে নিয়োগ পাবে, যা ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য, হতাশাজনক ও লজ্জার। তারা যদি ৩০ শতাংশ পদোন্নতি পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হয়ে যায়, তাহলে ডিপ্লোমাধারী ইঞ্জিনিয়ারদের সরকারি জব সেক্টর কোথায়?
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, তারা কি ডিপ্লোমা শিক্ষক হওয়ার জন্য যোগ্যতা রাখে? তারা হচ্ছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাবের সহকারী কর্মচারী। যারা কিনা ল্যাবের যন্ত্রপাতিগুলো ঠিকঠাক চেনে না, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম কিংবা এসএসসি পাস। তাদের মধ্যে কিছু আছেন উচ্চশিক্ষিত সার্টিফিকেটধারী, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তারা যদি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হয়, তাহলে ডিপ্লোমা ছাত্ররা কতটুকু শিখবে, আর দেশের জন্যই বা কতটুকু করতে পারবে। এ পদোন্নতির সিদ্ধান্ত কারিগরি সেক্টর ধ্বংস করার নীলনকশা বলে উল্লেখ করেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, কাফ্টম্যান হলো একজন ক্লিনার পর্যায়ের মানুষ, ক্লিনার কীভাবে একজন ভবিষ্যৎ ইঞ্জিনিয়ারের শিক্ষক হতে পারে। তিনি আরো বলেন, এখানে ৩০ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশের ভাগাভাগি করে প্রমোশন, কোটা ও মেধার ভাগাভাগি করা হচ্ছে।
সিভিল টেকনোলজি বিভাগের চিফ ইন্সট্রাক্টর মো. খালেদ হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ক্রাফটরা একটা কাগজ এনেছেন ৩০ শতাংশ পদোন্নতির। এই কাগজটি আমরা হাতে পাইনি। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করছেন।
তিনি বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা কোনোভাবেই জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে পদোন্নতি পেতে পারেন না। এটার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।