বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে সেতু তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

বাংলাদেশ-চীনের মধ্যে সেতু তৈরি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে দুই হাজার বছরের পুরনো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দুই দেশের মধ্যে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই ও শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি আরো বাড়াতে চাই। সম্প্রতি সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিনিময়ের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুই দেশের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করেছে।’

#চীন #বাংলাদেশ #ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয়

চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে দুই হাজার বছরের পুরনো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দুই দেশের মধ্যে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে চাই ও শিক্ষা বিনিময় কর্মসূচি আরো বাড়াতে চাই। সম্প্রতি সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিনিময়ের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দুই দেশের মধ্যে একটি সেতু তৈরি করেছে।’

গতকাল রোববার (২০ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে চীনের ইউনান প্রদেশ ও বাংলাদেশস্থ চীন দূতাবাসের উদ্যোগে আয়োজিত ‘চীন-বাংলাদেশ পিপল-টু-পিপল এক্সচেঞ্জ ইয়ার: ইউনান এডুকেশন অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

চীনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে উল্লেখ করে উপাচার্য আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে চীনের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একাধিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যা যৌথ গবেষণা, ফ্যাকাল্টি এবং শিক্ষার্থী বিনিময়ের পথ প্রশস্ত করেছে। আজ আরেকটি মাইলফলক তৈরি হয়েছে। চিকিৎসা গবেষণা ও প্রশিক্ষণকে এগিয়ে নিতে আমরা ইউনান ক্যান্সার হাসপাতালের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি।’

এসময় ঢাবি উপাচার্য আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে চীনের একটি শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এই ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শুধু ভাষাগত দক্ষতাই অর্জন করছে না, বরং একই সঙ্গে চীনের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গেও পরিচিত হচ্ছে। এবছর চীনের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী বাংলা পড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে। ভাষা বিনিময় এবং পারস্পরিক বোঝাপোড়ার ক্ষেত্রে এটি আমাদের অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ। এই ধরনের উদ্যোগ শিক্ষা, গবেষণা এবং এর বাইরেও গভীর সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করে।’

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘জুলাই আন্দোলনের কঠিন সময়ে আহতদের চিকিৎসা দিতে চীন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।’

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক উঁচু মাত্রায় পৌঁছেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-গবেষণা, সংস্কৃতি, যোগাযোগসহ সব ক্ষেত্রে দুই দেশের এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে।’

অনুষ্ঠানে চিকিৎসা গবেষণা ও প্রশিক্ষণকে এগিয়ে নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সঙ্গে চীনের ইউনান পিকিং ক্যান্সার হাসপাতাল এবং কুনমিং মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, চীনের ইউনান প্রদেশের গর্ভনর ওয়াং ইউবো, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ডিনবৃন্দ, চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ‘চায়না-সাউথ এশিয়া ইউথ এক্সচেঞ্জ উইক’ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করা হয়েছে। সিনেট ভবনের মিলনায়তনের বাইরে ইউনান প্রদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের ১৭টি বুথ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রদর্শনী করা হয়।

#চীন #বাংলাদেশ #ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় #বিশ্ববিদ্যালয়