চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হলো ডিপসিক এআই কোর্স | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চালু হলো ডিপসিক এআই কোর্স

ডিপসিক ভিত্তিক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোর্স চালু করছে দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন বিশ্ববিদ্যালয়। এই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের কেবল প্রযুক্তিগত জ্ঞানই নয়, নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, নৈতিকতা এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ নিয়েও শিক্ষা দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মতে, এটি ‘প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং নৈতিক মানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার পন্থা অন্বেষণ করবে।’

চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিপ্লবের সূচনা করেছে দেশটির উদীয়মান স্টার্টআপ ডিপসিক। এই স্টার্টআপের অবিশ্বাস্য সাফল্য এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সাফল্যের এই ধারা বজায় রাখতে চলতি মাসে ডিপসিকের আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক কোর্স চালু করেছে চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। চীনের এআই প্রযুক্তিকে আরও এগিয়ে নিতে এটি শিক্ষার্থীদের সাহায্য করবে।

এই উদ্যোগটি চীনা সরকারের লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে, যার উদ্দেশ্য হলো—দেশের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনকে আরও ত্বরান্বিত করা। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জন্য নতুন বৃদ্ধির পথ উন্মোচনে সাহায্য করবে এই উদ্যোগ।

এই স্টার্টআপের তৈরি ‘ডিপসিক-ভি৩’ এবং ‘ডিপসিক-আর১’ মডেলের ভূয়সী প্রশংসা করেছে সিলিকন ভ্যালির নির্বাহীরা ও মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়াররা। তাদের মতে, এই মডেলগুলো ওপেনএআই এবং মেটার সবচেয়ে উন্নত মডেলের মতোই কার্যকরী। ডিপসিকের মডেলগুলো উন্মোচনকে ‘স্পুটনিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন অনেকেই।

উল্লেখ্য, প্রথম পৃথিবীর কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক উৎক্ষেপণ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া)। বর্তমানে ‘স্পুটনিক মুহূর্ত’ শব্দটি প্রযুক্তি বা বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে এক বিপ্লবী উদ্ভাবন বা অগ্রগতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

এই সপ্তাহে ডিপসিক ভিত্তিক একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোর্স চালু করছে দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেন বিশ্ববিদ্যালয়। এই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের কেবল প্রযুক্তিগত জ্ঞানই নয়, নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, নৈতিকতা এবং অন্যান্য চ্যালেঞ্জ নিয়েও শিক্ষা দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির মতে, এটি ‘প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং নৈতিক মানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার পন্থা অন্বেষণ করবে।’

পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, তারা ফেব্রুয়ারি থেকে বিশেষ ‘ডিপসিক’ কোর্স চালু করেছে। এ ছাড়া, সাংহাইয়ের জিও টং বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কোর্সের জন্য ‘ডিপসিক’ এর এআই টুলস আপগ্রেড করেছে। চীনের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ও শিক্ষাদানে, গবেষণামূলক এবং ক্যাম্পাস অফিসের কাজে ডিপসিক ব্যবহার করছে।

গত জানুয়ারিতে ২০৩৫ এর মধ্যে ‘শক্তিশালী শিক্ষিত জাতি’ গঠনের জন্য প্রথম জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ করেছে চীন। এই পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো একটি ‘উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্থা; প্রতিষ্ঠা করা, যার গুণগত মান ‘বিশ্বের সেরা’ হবে।

ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং গত সোমবার এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ে র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। যেখানে চীনের শীর্ষ প্রযুক্তি ব্যক্তিত্বদের পাশাপাশি আলিবাবা এবং অন্যান্য বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতারাও ছিলেন।