আদালতে হাস্যোজ্জ্বল দীপু মনি, মেজাজ হারালেন হাজী সেলিম | বিবিধ নিউজ

আদালতে হাস্যোজ্জ্বল দীপু মনি, মেজাজ হারালেন হাজী সেলিম

কারাগারে সমস্যায় রয়েছেন হাজি সেলিম। তার কথা কারাগারে কেউ বোঝে না।

#আদালত #বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, অভিনেত্রী শমী কায়সারসহ ১০ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখান।

মামলার শুনানি চলাকালে এদিন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। অভিনেত্রী শমী কায়সারকে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সঙ্গে খোশগল্প করতে দেখা গেছে।

নতুন মামলায় গ্রেফতার অন্যরা হলেন- সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক এমপি হাজি সেলিম, সাদেক খান, আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে পুলিশ পাহারায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এসব মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখায়।

গ্রেফতার দেখানোর পর শহীদুল হকসহ অন্যদের আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। এ সময় শহীদুল হক বলেন, ‘ভালো নেই। দোয়া করবেন।’

এদিকে কাঠগড়ায় নিশ্চুপ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজি সেলিম। তার সঙ্গে কথা বলার জন্য কাছে যান তার আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়। তিনি হাজি সেলিমকে ওকালতনামায় স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। আইনজীবীর কথা শুনে ক্ষেপে ওঠেন হাজি সেলিম। তিনি রাগান্বিত স্বরে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন।

এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক এমপি সাদেক খান ওই আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, কারাগারে সমস্যায় রয়েছেন হাজি সেলিম। তার কথা কারাগারে কেউ বোঝে না। খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তার আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ বলেন, আমার মক্কেল কথা বলতে পারেন না। কারাগারে খাবার খেতে পারেন না। কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে পারেন না। এই অভিমানে আমার ওপর রেগে গিয়েছিলেন। এ জন্য তিনি ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে চাচ্ছিলেন না। কিছুক্ষণ বোঝানোর পর তিনি স্বাক্ষর করেন। তাকে বলেছি, সিস্টেমের বাইরে তো কিছু করতে পারব না।

তিনি আরও বলেন, আমার মক্কেলকে ১৯ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এখনো ১০ দিনের রিমান্ড পেন্ডিং রয়েছে।

শুনানি চলাকালে সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বসার জন্য চেয়ার চেয়ে প্রার্থনা করেন। পরে আদালতের খাসকামরা থেকে চেয়ার এনে তাকে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে তার আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন বলেন, বয়স্ক ও অসুস্থ বিবেচনায় কাঠগড়ায় চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করার জন্য মেনশন করা হয়। পরে তাঁকে কাঠের চেয়ারে বসার ব্যবস্থা করা হয়।

#আদালত #বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন