ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্তি বাতিল হওয়া সরকারি সাত কলেজের স্থগিত হওয়া স্নাতক ২০২৪-২৫ সেশনের (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ও আবেদন প্রক্রিয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পায়নি অনলাইন ভর্তি কমিটি।
তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনসহ (ইউজিসি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন বলে জানিয়েছেন।
ঢাবি কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, সাত কলেজের বিষয়ে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি। যেভাবে বলা হবে, সেভাবেই আমরা ভর্তি প্রক্রিয়ার সব তথ্য হস্তান্তর করব। রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে নাম আহবান করেছে বাংলাদেশ বিশ্বদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। গত মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রস্তাব বিষয়ে একটি অফিস নোট অনুমোদন করেছে। এতে ‘একটি পূর্ণাঙ্গ সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে সর্বসাধারণের নিকট প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহবানন করা হচ্ছে।
পরবর্তী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে [email protected] (ই-মেইল আইডিতে) নাম প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজসমূহ হচ্ছে- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ। কোনো কাঠামোয় সাত কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে, সে বিষয়ে ঢাবির ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে ইতোমধ্যে বার্তা দেয়া হয়ছে।
গত ২৯ জানুয়ারি সাত কলেজের আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় ঢাবি। ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটের বার্তায় বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত ও অধিভুক্ত ১৮২টি কলেজ বা ইনস্টিটিউটের মধ্যে সাধারণ শিক্ষা ধরনের (Category) ঢাকায় অবস্থিত সরকারি সাতটি কলেজের সম্মানজনক পৃথকীকরণের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বিভিন্ন প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এ কলেজের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির পরবর্তী নির্দেশনা মোতাবেক তাদের নিজ কাঠামোর (বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কিছু) ওয়েবসাইটে আবেদন সম্পন্ন করা হবে।
এই ওয়েবসাইটে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের তথ্য ও ভর্তি পরীক্ষার জমাকৃত ফি (মোট ৩৩ হাজার ১০১টি আবেদন) নতুন কাঠামোর ভর্তি পরীক্ষার আয়োজকদের সরবরাহ করা হবে।