সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত ধর্ষণ ও নারী নিপীড়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, বিচার ও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীরা।
সমাবেশ থেকে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রীরা এতে অংশ নেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আশরেফা খাতুন বলেন, ‘আগস্ট’-এর পরে ফের এভাবে রাজুতে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার জন্য কথা বলতে হবে, এর জন্য লজ্জা লাগে! এই গণঅভ্যুত্থানের পরেও আমাদের নারীরা নিরাপত্তা পাচ্ছেন না অথচ কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এই ৭২ ঘণ্টায় কত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অথচ আমাদের জন্য রাষ্ট্র কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। আগের রাষ্ট্র কাঠামো যা ছিল, এখনও তাই আছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আশরেফা খাতুন বলেন, এখন পর্যন্ত আপনারা ধর্ষকের কোনো দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেননি, যা দেখে অন্যরা ভয় পাবে। আমরা যে আন্দোলন করে এই সরকারকে বসিয়েছি, এই দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। আমরা চাই যাতে নিরাপদে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারি, আমাদের এই প্রত্যাশা যাতে রাষ্ট্র নিশ্চিত করে।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আছিয়া আক্তার রেমিজা বলেন, ‘জুলাই’ এখনো শেষ হয়নি। আমাদের সংগ্রাম এখনো চলছে! নারীদেরকে টুল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কারণ, তারা মনে করে, নারীদের যদি টুল হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে পার পাওয়া যাবে। ‘জুলাই’ পার হওয়ার পরও আমাদের নিরাপত্তার জন্য রাস্তায় নামতে হয়!
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় হয়ত আটক করা হয় কিন্তু তাদের আবার জামিন দিয়ে দেয়া হয় যা আমরা জানতে পারি না। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে অথচ আমরা শাস্তির কথা শুনতে পাই না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে এই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলে আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হচ্ছে! কিন্তু কোথায় উন্নতি হচ্ছে! আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন, দেখুন! দায়িত্ব পালন করতে না পারলে ছেড়ে দিন!