অধ্যক্ষ না থাকায় কেন্দুয়া সরকারি কলেজের বেতনভাতা বন্ধ | কলেজ নিউজ

অধ্যক্ষ না থাকায় কেন্দুয়া সরকারি কলেজের বেতনভাতা বন্ধ

অবসরজনিত কারণে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর কেন্দুয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ চলে যান। এরপর থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মালেক অলিখিতভাবে রুটিন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

#কলেজ #বেতন

নেত্রকোনার কেন্দুয়া সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ না থাকায় দুই মাস ধরে শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ রয়েছে। ফলে, কলেজের ৫২ জন শিক্ষক, আটজন অফিস স্টাফসহ ১৮ জন মাস্টার রুলের কর্মচারী চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন। অনেকেই ঋণ করে পরিবারের খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

ঋণগ্ৰস্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের দুর্দিনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কলেজের শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও অফিসিয়াল কাজের ওপর।

কলেজের ছয় হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অভিভাবকেরা।

কলেজ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অবসরজনিত কারণে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ ডিসেম্বর কেন্দুয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ চলে যান। এরপর থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মালেক অলিখিতভাবে রুটিন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে অধ্যক্ষের পদে কয়েকজন প্রার্থী থাকার পরেও শিক্ষা অধিদফতর থেকে কর্মকর্তারা এসে সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি।

প্রভাষক মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, অচিরেই অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া একান্ত প্রয়োজন। তা নাহলে কলেজের অস্তিত্ব ধরে রাখা জটিল হয়ে পড়ছে। দুই মাস ধরে বেতন বন্ধ হয়ে আছে। আসছে রমজান মাসে চলার কোনো পথ থাকবে না। সে কারণে জরুরিভিত্তিতে একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।

প্রধান অফিস সহকারী এনামুল হক বলেন, সরকারি বেতন পেয়েও অনেক হিসাব করে পরিবার চালাতে হয়। অধ্যক্ষ স্যার না থাকায় দুই মাসের বেতন পাইনি। দোকান থেকে বাকি জিনিসপত্র এনে শোধ করতে পারছি না! ঋণের বোঝা বেড়েই চলেছে!

কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান আহম্মদ আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, অধ্যক্ষশূন্য হওয়াতে বেতন বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে দিন চলছে শিক্ষক ও কর্মচারীদের। অতি দ্রুত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে কলেজের অফিসিয়াল কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলার পথ সুগম করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

#কলেজ #বেতন