শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ: সেই স্কুল কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও | স্কুল নিউজ

শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ: সেই স্কুল কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও

কমিটি গঠন নিয়ে বিশৃঙ্খলা হওয়ায় বিধান অনুযায়ী বুধবার সকালে বিদ্যালয়টির অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হাসান।

#বরিশাল শিক্ষা বোর্ড

বরিশালের এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্বে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হাসান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধান অনুযায়ী তিনি এ দায়িত্ব পেয়েছেন। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটির জন্য প্রস্তাব করা নামের তালিকায় ১ নম্বরে বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিনের নাম না থাকায় তারই অনুসারীরা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বলে অভিযোগ।

বুধবার সকালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আরো পড়ুন: বিএনপি নেতাকে স্কুলের কমিটির ১ নম্বরে না রাখায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত

বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে বিশৃঙ্খলা হওয়ায় বিধান অনুযায়ী বুধবার সকালে বিদ্যালয়টির অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হাসান। ৬ মাস পর গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের পর বিদ্যালয়ে নিয়ম অনুসারে গভরনিংবডি অথবা ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হবে। ততদিন পর্যন্ত অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

এর আগে একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে জেরে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে তার দপ্তরে লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদারের অনুসারীরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাগরদী এলাকায় ‘এ ওয়াহেদ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের’ কমিটি গঠনের জন্য তিনজনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়। সেখান থেকে একজনকে সভাপতি চূড়ান্ত করবেন বোর্ড চেয়ারম্যান। ওই তালিকায় ১ নম্বরে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম ছালাম মিয়ার স্ত্রীর নাম রয়েছে। সাধারণত সভাপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে ১ নম্বরে থাকা ব্যক্তিই অগ্রাধিকার পান। তবে অ্যাডহক কমিটির প্রস্তাবিত তালিকায় জিয়া সিকদারের নাম ২ নম্বরে থাকায় তার অনুসারীরা এ কাণ্ড ঘটান।

#বরিশাল শিক্ষা বোর্ড