সরকারি চাকুরেদের আন্দোলনের পথ বন্ধ হচ্ছে | চাকরির খবর নিউজ

সরকারি চাকুরেদের আন্দোলনের পথ বন্ধ হচ্ছে

আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক ( সংশোধন ) অধ্যাদেশের অনুমোদনের জন্য তোলার কথা রয়েছে । এ ছাড়া সম্পূরক হিসেবে সরকারি চাকরি আইন ( সংশোধন ) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে ।

#সরকারিকরণ #সচিবালয় #শিক্ষা ক্যাডার #প্রশাসন ক্যাডার

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের যত্রতত্র ও দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করছে অন্তর্বর্তী সরকার । এ জন্য নতুন একটি অধ্যাদেশের খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় । উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলে শিগগির এ বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করা হবে । সংশ্লিষ্ট সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানায় , সরকারের নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয় ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে সেখানে নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হতে পারে। তিনজনের বেশি সরকারি কর্মচারী একসঙ্গে যাতে কোনো কর্মসূচিতে যোগ দিতে না পারেন , সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে এতে। সংশোধিত আইনটির অধ্যাদেশ জারি হলে সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনে নামার আর কোনো উপায় থাকবে না।

জানা যায়, নতুন আইন প্রণয়ন বা পুরনো আইন সংশোধনের জন্য যে খসড়া করা হয়, তা পরীক্ষানিরীক্ষা করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি কমিটি রয়েছে। সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়াও ওই কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান ।

আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক ( সংশোধন ) অধ্যাদেশের অনুমোদনের জন্য তোলার কথা রয়েছে । এ ছাড়া সম্পূরক হিসেবে সরকারি চাকরি আইন ( সংশোধন ) অধ্যাদেশের খসড়াও অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে । '

এই আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন কর্মকর্তা বলেন , অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দাবিদাওয়া আদায়ের সব পথ বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে । এর বাস্তবায়ন হলে সরকারি চাকরিজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন । ওই কর্মকর্তা বলেন , সরকারের শীর্ষ পদগুলোতে এখন চুক্তিতে নিয়োজিত কর্মকর্তারা রয়েছেন , তাঁদের আর কোনো চাওয়া - পাওয়া নেই । অন্তর্বর্তী সরকারও তাদের মেয়াদ শেষ করলেই দায়িত্ব শেষ । দাবিদাওয়া আদায়ের গণতান্ত্রিক পথ বন্ধ করে দিলে সরকারি চাকরিজীবীরা সহজে তা মেনে নেবে বলে মনে হচ্ছে না ।

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন , ৫ আগস্টের পর সরকারি কর্মচারীরা যে আচরণ করেছেন , তাতে করে তাঁদের জন্য এ রকম নিয়ম করা হলে অনেকের আপত্তি তোলার কোনো জায়গা থাকবে না । কারণ পেশাদারত্বের বাইরে গিয়ে সেই অবস্থানটা তাঁরা নষ্ট করেছেন । অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর দাবিদাওয়া আদায়ে সরব হয়ে ওঠেন বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীরা । ডিসি নিয়োগকে কেন্দ্র করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নজিরবিহীন হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা । গত সরকারের সময় বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন সচিবের দপ্তর ঘেরাও করেন । উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন শোডাউন করেন । অন্যদিকে উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ভাবনার কথা জানানোর পর প্রশাসন ক্যাডার এবং ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে উভয় পক্ষ কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামে ।

সরকার তাঁদের সতর্ক করে বার্তা দেওয়ার পর উভয় পক্ষ ফেসবুকে বক্তব্য - বিবৃতি দিতে থাকে । পরে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মকানুন না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় । তারপরও সরকারি কর্মচারীরা দাবিদাওয়া আদায়ে কর্মসূচি পালন করেন ।

#সরকারিকরণ #সচিবালয় #শিক্ষা ক্যাডার #প্রশাসন ক্যাডার