খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। বর্তমানে কবরস্থান ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আহ্বায়ক শাফায়েত ঢালী বলেন, ‘শহীদ রাজনের (ফয়জুল ইসলাম) কবর ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ঘটনা শুধু একটি কবর ভাঙচুর নয়, এটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সকল শহীদদের অসম্মান করার নিকৃষ্ট উদাহরণ।
শহীদ রাজনের কবরস্থানে যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, শহীদদের অসম্মান করে কেউ রেহাই পাবে না। ছাত্রসমাজ এ অন্যায়ের প্রতিবাদে রক্ত দিতেও প্রস্তুত।’
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে মিরপুর ১০ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফয়জুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে কেরানীগঞ্জের বাহেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ওই কবরের চারপাশে সীমানাদেয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল।
শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ফয়জুল ইসলামের কবরটি আংশিক ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। ইট দিয়ে নির্মিত কবরের চারপাশের সীমানা দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ইটগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। কবরের ওপরে আচ্ছাদন দেওয়া নীল রঙের ত্রিপলও ছেঁড়া অবস্থায় রয়েছে। পাশেই পড়ে আছে শহীদ রাজনের নামফলকটি। কবরস্থান ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
ফয়জুলের বড় ভাই মোহাম্মদ রাজু বলেন, ‘আজ সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে ভাইয়ের কবর অক্ষত দেখেছিলাম। বিকেলে লোকমুখে জানতে পারি কবর ভাঙচুর করা হয়েছে।
গিয়ে দেখি, কবরের চারপাশের সীমানাদেয়াল ভেঙে রাখা হয়েছে। যারা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
এ বিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য তদন্ত চলছে।