খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) নেতৃত্ব দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েট শাখার আহ্বায়ক ওমর ফারুক এবং কেন্দ্র থেকে হাসনাত আবদুল্লাহ মনিটরিং করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। একই সঙ্গে তাদের অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথিত শিক্ষার্থী ও শিবিররা প্রথমে হামলা করেছে।
বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের ক্রীড়া কক্ষে ছাত্রদল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জাম শিপন, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিকসহ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।
ছাত্রদল সভাপতি বলেন, কুয়েট একটি চরম অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে সর্বপ্রথমে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করার সঙ্গে সঙ্গে এই সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এসব ন্যাক্কারজনক হামলায় ও হামলার উসকানিতে জড়িত যেই হোক না কেনো, সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি, যোগ করেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তি এবং পূর্ববর্তী সময়ে যারা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সহযোগী হিসেবে তাদের অপকর্মের বৈধতা দিতে ভূমিকা রেখেছিলো সেইসব শিক্ষার্থী নামধারী অপশক্তি বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে গোপনে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক চর্চায় বাধাগ্রস্ত করে মব সংস্কৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি করছে এবং নাগরিক হিসেবে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে অতীতের ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসী সংগঠনের ন্যায় অগণতান্ত্রিক আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।
নাসিরুদ্দিন নাসির বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পরে বাংলাদেশে যারা আত্মপ্রকাশ করতে ভয় পেয়েছে, সেই শিবিরের সন্ত্রাসীরা ছাত্রদলের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের নির্যাতনের মাত্রা এতোই ছিলো যে, আহত শিক্ষার্থীরা দোকানে আশ্রয় নিলে দোকানদারকেও বৈষম্যবিরোধী কথিত শিক্ষার্থী ও শিবিরের সন্ত্রাসীরা হামলা করে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথিত শিক্ষার্থী ও শিবিররা প্রথমে হামলা করেছে। বৈষম্যবিরোধী কথিত শিক্ষার্থীরা যদি অংশগ্রহণ না করতো, তাহলে এ রকম সংঘাত কখনো হতো না।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের কমিটি আছে কিনা শিক্ষার্থীরা তা জানে না। কুয়েটে ছাত্রশিবিরের কমিটি নেই এটা শিবিরকে নিশ্চিত করতে হবে। কমিটি থাকলে তাদেরকে তা প্রকাশ্যে আনতে হবে।