এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার বন্ধ, ‘নামসর্বস্ব’ ম্যাটসের কার্যক্রম বন্ধ, বিসিএস পরীক্ষায় বয়স বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবিতে আরো ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পক্ষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী তন্ময় হাসান হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তারা জানান, আগামীকাল বুধবার থেকে নতুন এ কর্মবিরতি শুরু হবে এবং কাল সকাল ১১টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে, দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ এবং বিডিএস ডিগ্রিধারীদের জন্য সীমিত রাখা।
গত রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতি পালন করছেন।
আজ কয়েক শ ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে হাইকোর্ট অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রায় অংশ নেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসকও। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের ফটকে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
পরে আন্দোলনরত চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি চলাকালে তারা ‘একাডেমিক শাটডাউন’ পালন করবেন, অর্থাৎ এ সময়ে তারা কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না।
আন্দোলনকারীরা জানান, ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে মেডিক্যাল সহকারীরা ‘ডাক্তার’ উপাধি ব্যবহারের অধিকার চেয়ে একটি রিট পিটিশন করেছিলেন। তাদের অভিযোগ, ১১ বছর ধরে মামলাটি বিচারাধীন থাকায় আইনি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেডিক্যাল সহকারীরা অবৈধভাবে এই উপাধি ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী নোমান বলেন, ‘হাইকোর্ট আজ রিট আবেদনের শুনানি সম্পন্ন করেছেন এবং রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১২ মার্চ তারিখ ধার্য করেছেন। এটি আমাদের প্রাথমিক বিজয়।’