জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা নয় ঘণ্টা ধরে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের দাবি তাদের সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ করেনি প্রশাসন। তবে শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক। একাত্মতা পোষণ করেছে শিক্ষক সমিতির নেতারাও।
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষকদের সঙ্গে বসে পড়েন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। আমি শিক্ষক হিসেবে সংহতি জানাতে এসেছি। প্রশাসনের লোক হিসেবে নয়। এ সময় শিক্ষক সমিতির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অনশনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো শিক্ষক একাত্মতা পোষণ করলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখানে এসে আমাদের দাবি নিশ্চিত না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠবো না।
এদিন এক সংবাদ সম্মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেয়ার শুরু থেকেই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তা অনেকবার প্রকাশ্যে ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ইউজিসিকে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে লিখিতভাবে অনুরোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছে, যা এখন সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।
এর আগে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর, অস্থায়ী আবাসন শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে। যতদিন অব্দি আবাসন ব্যবস্থা না হয় ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।