দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পদ সৃজনের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারব্যবস্থা সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত ধারণাপত্র, ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া, রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর যেসব স্থানে সংশোধন করতে হবে, তার তালিকা, অ্যালোকেশন অব বিজনেসের সংশোধনের তালিকা, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অর্গানোগ্রামের খসড়া সংযুক্তি সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাজ জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কর্তৃক স্বাক্ষরিত সেই পত্রটি আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
ইতোপূর্বে, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছিলেন, দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুসারে পৃথক আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন। যুগ্ম জেলা জজ হতে জেলা জজ পর্যন্ত এই সংস্কার আনতে হবে।
রোডম্যাপে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্বতন্ত্রীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। সেই অনুসারে গত বছরের ২৭ অক্টোবর এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। সেখানে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ যথাযথরূপে পালনের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আইন ও বিচার বিভাগকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
সেই ধারাবাহিকতায়, সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপনকে আরো অর্থবহ করতে ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং ইকুইপমেন্ট নির্ধারণ; বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদ সৃজন, বিলোপ, বিন্যাস, নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, ছুটি, চাকরির শর্তাবলী নির্ধারণ; অধস্তন আদালত, তৎসংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, কমিশন, ইনস্টিটিউট, অ্যাকাডেমি প্রভৃতির কাঠামো এবং ইকুইপমেন্ট নির্ধারণ ও বাজেট ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
খসড়ায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যাবলি বণ্টন, ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতিকে প্রয়োজনীয় বিধি, প্রবিধি, নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে।