ভাড়া বাসা থেকে মাদরাসা শিক্ষকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার | বিবিধ নিউজ

ভাড়া বাসা থেকে মাদরাসা শিক্ষকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে মাওলানা লুৎফুর রহমান (৬৫) নামের এক মাদরাসাশিক্ষকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

#মাদরাসা #শিক্ষক

কিশোরগঞ্জে মাওলানা লুৎফুর রহমান (৬৫) নামের এক মাদরাসাশিক্ষকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) জেলা শহরের শোলাকিয়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত লুৎফুর রহমান কিশোরগঞ্জের আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার জ্যেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও শহরের বটতলা কাছারি জামে মসজিদের খতিব ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে গোসল করার জন্য বাথরুমে গেলে সেখানে লুৎফুর রহমানের গলাকাটা লাশ দেখতে পান তার স্ত্রী।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মনতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা নিহত ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, দুপুরে মাওলানা লুৎফুর রহমান গোসলের জন্য বাথরুমে যান। দীর্ঘ সময় হয়ে গেলেও তিনি বাথরুম থেকে বের না হওয়ায় তার স্ত্রীর সন্দেহ হয়। পরে তিনি বাথরুমে গিয়ে দেখেন, ভেতর থেকে লাগানো। এ সময় অন্যদের সহায়তায় বাথরুমের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় মাওলানা বাথরুমের ফ্লোরে পড়ে আছেন। ওনার পাশেই ছিল একটি রক্তমাখা ছুরি। পরিবার জানিয়েছে, উনি নাকি বেশ কয়েক দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন আচরণ করছিলেন।’

পুলিশ রক্তমাখা ছুরি ও লাশ উদ্ধার করেছে। পরে লাশ কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ বিষয়টিকে আত্মহত্যা হিসেবে দেখছে। তবে ময়নাতদন্তের পর এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন মনতোষ বিশ্বাস।

আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাদরাসার প্রধান মাওলানা শাব্বির আহমেদ বলেন, কিছুদিন ধরে মাওলানা লুৎফুর রহমান ভারসাম্যহীন হয়ে গিয়েছিলেন। হয়তো এ কারণেই বাথরুমে এ ঘটনা ঘটেছে।

#মাদরাসা #শিক্ষক