পবিত্র মাহে রমজানের দশম দিনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণ-ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ৫০তম ব্যাচের আয়োজনে এ গণ-ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতারের উদ্যোগে নিয়েছে। আসর নামাজের পর থেকেই সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ করা যায়। এ সময় কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-নাত ও ইসলামি বিভিন্ন পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রোজা রাখা, ইফতার করা। এদেশের মানুষের সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এক সঙ্গে ইফতার করা। তারই অংশ হিসেবে আমাদের ৫০ তম ব্যাচের উদ্যোগে গণ-ইফতার কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, সিয়াম সাধনার মাস আমাদের বিনয়ী হতে শেখায়। আমাদের জীবনে রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ মাসে আমরা মহান আল্লাহর ইবাদত করি। এ ধরনের গণ ইফতার কর্মসূচি আমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেকগুলো পজিটিভ পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করেছি। তার মধ্যে একটি হলো এই গণ ইফতার। পবিত্র রমজান মাস আমাদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসিক হলসহ বিভিন্ন জায়গায় গণ-ইফতার কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের পারস্পরিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করবে। ইসলামের একটি বড় শিক্ষা আমাদের নৈতিকতা বজায় রাখা। আমাদের সবার শুধু ইহকাল না, পরকালের কথা বিবেচনা করে জীবনযাপন করতে হবে, যোগ করেন তিনি।