রোববার দুপুরে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মো. মুশফিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মো. শিহাব উপস্থিত ছিলেন। সচিবালয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং পরবর্তী কী কর্মসূচি তা বিকেলে জানানো হবে।
এর আগে সকালে ছয় দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর তেজগাঁয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে এ মিছিল শুরু করেন। এ সময় তারা ছয় দাবি আদায়ে নানা শ্লোগান দেন।
এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে এ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেদিন রাতে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ঘোষণাও দেন তারা।
পরদিন ২৩ এপ্রিল তারা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাহার করে ফের কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
গত ২২ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে দাবি পূরণের রূপরেখা প্রণয়নে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটিকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক ও একই বিভাগের কারিগরি অধিশাখা-১-এর যুগ্মসচিবকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
জানা গেছে, কমিটিতে সদস্য রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সাব্বির মোস্তফা খান, আইডিইবির কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য-সচিব প্রকৌ. কাজী সাখাওয়াত হোসেন, জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল আজিজ, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে ১টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফয়সাল মুফতী, কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রধান কার্যনির্বাহী উপদেষ্টা মো. রহমত উল আলম।