শিক্ষক পদে নিয়োগের দাবিতে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা এ ঘোষণা দেয়।
এর আগে তাদের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সভায় বসবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। দ্রুতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে। আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদলকে এমনটাই জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ বরাদ হোসেন চৌধুরী। এর আগে নিয়োগপ্রত্যাশীদের আট সদস্যের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ের যান আলোচনার জন্য। বিকেলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছে ১২তম আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক আল মুমিন।
এর আগে দুপুরে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি গাড়িতে ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে রওনা করেন। সকাল থেকেই তারা রাজধানীর শাহবাগে আজও শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করলে বেলা পৌনে ২টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। এর আগে অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করে।
নিয়োগপ্রত্যাশীদের দাবি, এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। তাদের ভাষায়, এতে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার ‘যোগ্য’ ব্যক্তি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তারা আরো দাবি করেন, বহু শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও শিক্ষক পদে চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ কিছু লোক আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।
তারা বলেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৮ অক্টোবর থেকে আমরা লাগাতার মানববন্ধন করে আসছেন। এনটিআরসিএর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তাদের নিয়োগ অনিশ্চিত।