দেশের নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১১তম দিনের মতো শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
তারা বলছেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকাল থেকেই ১১তম দিনের লাগাতার অবস্থান কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে, গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ে যেতে বলেন। এতে রাজি হয়ে নন এমপিও শিক্ষকদের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশের সঙ্গে সচিবালয়ে যান। পরে তাদের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তি করতে হবে। তারা বলছেন, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার বৈষম্য সৃষ্টি করেছিলো। তাই অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে। এ দাবি পূরণ না হলে রাজপথ ছাড়বেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শিক্ষকরা বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টির মাধ্যমে হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও বঞ্চিত করেছে। অথচ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ২০-২৫ বছর ধরে এমপিওবিহীন থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীরা নিরলসভাবে পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন এবং জাতীয় শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের এবং শেখ পরিবারের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান ছিলো সেগুলো এমপিওভুক্ত করেছেন, বলেন তারা।