জাতীয়করণের দাবিতে ‘মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে নতুন দুইটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-কর্মচারীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমাবেশ এবং বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের নেতারা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
এর অগে আজ দুপুরে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারি করার দাবিতে মার্চ টু যমুনা কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা পল্টন মোড় ঘুরে ফের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। এর আগে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন।
শিক্ষকরা বলছেন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। প্রজ্ঞাপন ছাড়া ঘরে ফিরবেন না তারা।
টানা অষ্টম দিনের মতো বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোটের নেতারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। পরে মার্চ টু যমুনা শুরু করেন।
তার আগে, মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। পরে সচিবালয়ের রাস্তায় পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়। সেখানে শিক্ষক-কর্মচারীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ফের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে ফিরে আসেন।
গত সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হুমায়ুন কবির। তবে শিক্ষকরা বলছেন, আন্দোলনস্থলে এসে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিতে হবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট ঘোষিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা অবস্থান নিয়েছেন। সংগঠনের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী না, আন্দোলনস্থলে এসে ঘোষণা দিতে হবে, আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। অন্যথায় শিক্ষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাসার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, মার্চ টু যমুনা কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার প্রতিবাদে জাতীয়করণ শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক সমাবেশ করা হবে, সেই সমাবেশে শিক্ষকরা তাদের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন এবং দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন এবং কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষকরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া প্রেস ক্লাব ছেড়ে যাবেন না তারা। সরকারকে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সব এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে প্রেসক্লাবের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান তারা।