নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত, বখাটে গ্রে*ফতার | বিবিধ নিউজ

নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত, বখাটে গ্রে*ফতার

নেত্রকোনার আটপাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মোশাররফ হোসেন নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।

#ছাত্রী #স্কুল #আদালত

নেত্রকোনার আটপাড়ায় এক স্কুলছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মোশাররফ হোসেন নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকালে অভিযুক্ত শাহ আলমকে (৩৫) আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজজামান জানান, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার দশভাগিয়া গ্রাম থেকে পলাতক শাহ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার দশভাগিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো শাহ আলম। তাকে সে কুপ্রস্তাব দিতো। মোশাররফ নামের এক যুবক এর তীব্র প্রতিবাদ করে। এতে মোশাররফের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় শাহ আলমের। সোমবার রাত ১০টার দিকে কয়েল কিনতে গ্রামের দোকানে যান মোশারফ। এ সময় অতর্কিত শাহ আলম পেছন থেকে ছুরি দিয়ে মোশাররফের গলায় আঘাত করে পালিয়ে যান। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরে তাকে মমেক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তার গলায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়। তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।

আহত মোশারফের স্ত্রী রীমা আক্তার বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার শাহ আলমের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

ছাত্রীর বাবা বলেন, আটক শাহ আলম একজন বখাটে। আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে প্রতিদিন বিরক্ত করতো। মোশারফ এর প্রতিবাদ করায় তার ওপর আঘাত করে শাহ আলম। সে এখন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমি শাহ আলমের চূড়ান্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, অভিযুক্ত শাহ আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে শুক্রবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

#ছাত্রী #স্কুল #আদালত