শিক্ষা গবেষকেরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত নিয়ে এই শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হতে থাকে নতুন শিক্ষাক্রম। শুরু থেকেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে তা। গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরই চালু হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করে দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। ফিরে যায় ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের শিক্ষাক্রমে। এরইমধ্যে সব বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর কবির বলেন, জরুরি অবস্থায় পুরোনো শিক্ষাক্রমে ফিরে গেলেও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম করতে হবে।
এনসিটিবির একাধিক সূত্র বলেন, আগামী বছরের বই পরিমার্জনের কাজ শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। সেই সঙ্গে নতুন শিক্ষাক্রমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উন্নত এবং বাস্তবায়নযোগ্য শিক্ষাক্রমের কাজ চলছে। যা ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ধাপে ধাপে চালু হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ধারাবাহিকভাবে শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডা. দীপু মনি ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু করেছিলেন।
তার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের শুরুতে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও শুরুর কথা ছিল। পরে এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হলে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ আগস্ট নতুন শিক্ষাক্রম স্থগিতের কার্যত্রুম শুরু হয়।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।