এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, শতভাগ উৎসব ভাতা, সরকারি কর্মচারীদের মতো একই হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতার দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস দেশব্যাপী ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে ফের তারা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করবেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এর আগে সকাল থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ও প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
শিক্ষকরা বলছেন, আসন্ন ঈদে শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন না আসলে ঈদুল ফিতরের নামাজ যমুনায় হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষকরা সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করলে তাতে বাধা দেয়া হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে ফের প্রেস ক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন। শিক্ষকরা বলছেন, দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরবেন না।
শিক্ষকরা বলেছেন, সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, মেডিক্যাল ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণপ্রত্যাশী জোট ঘোষিত এই কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষকরা অবস্থান নিয়েছেন।
সংগঠনের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজীজী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী না, আন্দোলনস্থলে এসে ঘোষণা দিতে হবে, আমাদের দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। অন্যথায় শিক্ষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব আবুল বাসার দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, মার্চ টু যমুনা কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার প্রতিবাদে জাতীয়করণ শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষক সমাবেশ করা হবে, সেই সমাবেশে শিক্ষকরা তাদের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন এবং দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন এবং কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষকরা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া প্রেস ক্লাব ছেড়ে যাবেন না তারা। সরকারকে দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সব এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীকে প্রেসক্লাবের কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান।