রোববার ‌‌‘মার্চ ফর জাস্টিস’ করবেন প্রাথমিকে চাকরি হারানো শিক্ষকরা | স্কুল নিউজ

রোববার ‌‌‘মার্চ ফর জাস্টিস’ করবেন প্রাথমিকে চাকরি হারানো শিক্ষকরা

সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা বলছেন, সরকারের আন্তরিকতার অভাবে আদালতের রায় তাদের বিপক্ষে গেছে। অতিদ্রুত রায় বাতিল করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

#প্রাথমিক বিদ্যালয় #স্কুল #শিক্ষক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা তাদের যোগদান করানোর দাবিতে টানা ২২ দিন আন্দোলন করছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ২২তম দিনে তারা নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

ঘোষণা অনুযায়ী- রোববার (২ মার্চ) থেকে তারা ঢাকায় ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি করবেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের অবস্থান কর্মসূচি থেকে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।

সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা বলছেন, সরকারের আন্তরিকতার অভাবে আদালতের রায় তাদের বিপক্ষে গেছে। অতিদ্রুত রায় বাতিল করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

তাদের দাবি, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশ যারা পেয়েছেন তারা সবাই বর্তমানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। আর তৃতীয় ধাপে যারা সুপারিশ পেয়েছেন, তারা এখন আন্দোলনে। বর্তমান সরকার রায় নিয়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে সুপারিশ করেছে ৬ হাজার ৫৩১ জনকে। অথচ যারা নিয়োগের সুপারিশে টেকেনি, তাদের রিট আবেদনে তৃতীয় ধাপের সুপারিশ পাওয়াদের নিয়োগ বাতিল করা হয়।

জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আগেই। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। সব প্রক্রিয়া শেষ হলে অন্তর্বর্তী সরকার ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর তৃতীয় ধাপের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ হাজার ৫৩১ জনকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে সুপারিশ করে।

কিন্তু অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের একটি রিট আবেদনের কারণে আদালতে সুপারিশ বাতিল করা হয় গত ৬ ফেব্রুয়ারি। আদালতের আদেশের পর লাগাতার এ কর্মসূচি শুরু হয় গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকেই।

লাগাতার এ আন্দোলনে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশি নির্যাতন ও বাধার পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন। এরপরও পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। লাঠিচার্জ ও জলকামানের কারণে অনেক প্রার্থী ও তাদের সন্তানরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরও আন্দোলন থেকে পিছু হটেননি তারা।

#প্রাথমিক বিদ্যালয় #স্কুল #শিক্ষক