মাদরাসার জাল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ইনডেক্স কর্তন করা এসব শিক্ষকদের উঠানো বেতন-ভাতার সব টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিয়ে তার প্রমাণ পাঠানোর জন্য মাদরাসার প্রধানদের বলা হয়েছে। আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করলে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা প্রধানদের এমপিও স্থগিতসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, জাল শিক্ষকদের যে প্রমাণ আমরা পেয়েছি তার অর্থ সরকারি কোষাগারে নেয়ার একটা প্রক্রিয়া এটা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাদরাসা প্রধানকে চিঠি দেয়া হয়েছে, সেগুলো এখনো যথাযথ প্রক্রিয়া মেনটেইন করা হয়নি। এরই আলোকে একটা চিঠি দেয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। যাদের ইনডেক্স কর্তন করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হলো, না নেয়া হলে তার কারণ কী এগুলো। সরকারি কোষাগারে যেনো অর্থগুলো ফেরত আসে তারই একটা প্রক্রিয়া এই আদেশ।
সম্প্রতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ- এর ভুয়া ও জাল সনদের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত হওয়ায় সনদধারীদের বিরুদ্ধে এমপিও বাছাই ও অনুমোদন কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষকদের ইনডেক্স কর্তন করা হয়।
আদেশে আরো বলা হয়, প্রতিষ্ঠান-প্রধানকে ইনডেক্স কর্তন করা শিক্ষকদের উত্তোলিত বেতন-ভাতার সমুদয় অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে প্রমাণসহ অধিদপ্তরে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে, উত্তোলিত বেতন-ভাতাসহ সমুদয় অর্থ সরকারি কোষাগারে জমাদান এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে প্রমাণসহ আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। অন্যথায়, স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান-প্রধানের এমপিও স্থগিতসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে ১ জানুয়ারি বিভিন্ন মাদরাসার জাল সনদধারী ২৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করে তাদের এমপিওশিট থেকে ইনডেক্স কাটা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জাল সনদধারী শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের তালিকা প্রকাশ করে মাদরাসা অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এসব জাল শিক্ষকদের আবেদন পাঠানোর ব্যাপারে মাদরাসা প্রধানকে সর্তক করা হয়। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে তাদের বেতন-ভাতার টাকা ফেরত দিতে যেকোনো ধরনের শৈথিল্যে প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।