বৈষম্যবিরোধী দুই নেতার নেতৃত্বে পারভেজকে হত্যা: ছাত্রদল | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

বৈষম্যবিরোধী দুই নেতার নেতৃত্বে পারভেজকে হত্যা: ছাত্রদল

রাকিব বলেন, ‘পারভেজের ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত না হলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কর্তৃক মীমাংসিত বিষয়ে এমন ঘটনার কোনো প্রশ্নই আসে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কার্যক্রম বাধা দেওয়ার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কতিপয় রক্ষীবাহিনীর মতো সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব কায়েম করেছে। তাঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মীদের মবের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রলীগের স্টাইলে সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করেছে। ক্যাম্পাসের বাইরেও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি নতুন নামে সেই পুরাতন ফ্যাসিবাদ।’

#ছাত্রদল #বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব দাবি করেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার নেতৃত্বে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও ঘটনায় জড়িদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।’ এসময় তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে ছাত্রদলকে সাংগঠনিক কাজ করতে দিচ্ছে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন ছাত্রদল সভাপতি।

জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছাত্রদলের কর্মী দাবি করে তিনি বলেন, ‘ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মেহেরাজ ইসলামের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীর নেতৃত্বে বনানী এলাকার বেশ কিছু সন্ত্রাসী এই হত্যায় জড়িত ছিল। তাঁরা পারভেজের বুকে ছুরিকাঘাত করে তাঁকে হত্যা করে।’

রাকিব বলেন, ‘পারভেজের ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত না হলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কর্তৃক মীমাংসিত বিষয়ে এমন ঘটনার কোনো প্রশ্নই আসে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের কার্যক্রম বাধা দেওয়ার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কতিপয় রক্ষীবাহিনীর মতো সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব কায়েম করেছে। তাঁরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের কর্মীদের মবের ভয়ভীতি দেখিয়ে ছাত্রলীগের স্টাইলে সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি করেছে। ক্যাম্পাসের বাইরেও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি নতুন নামে সেই পুরাতন ফ্যাসিবাদ।’

এ সময় পারভেজ হত্যা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পেজ থেকে দেওয়া পোস্টকে অশোভনীয় উল্লেখ করেন ছাত্রদল সভাপতি। তিনি বলেন, ‘তারা অভিযুক্তদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করতে পারতেন। তা না করে তদন্তের আগেই অভিযুক্তদের পক্ষ নেওয়াটাই প্রমাণ করে তারা অপরাধ আড়াল করাতে বিশ্বাসী। এই সংগঠনের প্রতিটি কমিটিতে যেভাবে সাবেক ছাত্রলীগকে ঠাই দেওয়া হয়েছে মনে হয়েছে, তারা ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন।’

এদিকে, পারভেজ হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন তাঁর ভাই। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাসেল সারোয়ার বলেন, মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাথি, মেহেরাব, আবুজর গিফারী ছাড়াও আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মোট আসামি ৮ জন। তাঁরা সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

তদন্ত করছি এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান রাসেল সরোয়ার।

১৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টায় ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে জাহিদুল ইসলাম পারভেজের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় তাঁরই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের ছাত্র জাহিদুলকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

#ছাত্রদল #বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন