বৃষ্টির পর ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর | বিবিধ নিউজ

বৃষ্টির পর ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর

শনিবার রাতে বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। বৃষ্টিতে সাধারণত দূষণের পরিমাণ কমে। কিন্তু বায়ুদূষণে রোববার সকালে বিশ্বের ১২৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।

#ঢাকা #আবহাওয়া #বৃষ্টি

শনিবার রাতে বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। বৃষ্টিতে সাধারণত দূষণের পরিমাণ কমে। কিন্তু বায়ুদূষণে রোববার সকালে বিশ্বের ১২৩টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউ এয়ারের মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ১৯০। বায়ুর এই মানকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে ধরা হয়।

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

তালিকার শীর্ষ স্থানে রয়েছে সেনেগালের ডাকার, স্কোর ১৯৪, অর্থাৎ সেখানকার বায়ুও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। একিউআই স্কোরে তৃতীয় স্থানে আছে উগান্ডার কাম্পালা, স্কোর ১৮২। ১৮০ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে চীনের উহান। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, স্কোর ১৭৯।

একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

#ঢাকা #আবহাওয়া #বৃষ্টি