বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এম জে এইচ মঞ্জু ও সদস্য সচিব করা হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আতিক শাহরিয়াকে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য রাশিদুল ইসলাম রিফাত।
তিনি বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে সদস্য সচিব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আতিক শাহরিয়ার, মুখ্য সংগঠক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, উত্তরার ওমর ফারুক এবং মুখপাত্র হয়েছেন ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিনা। শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে কমিটির আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু বলেন, ৬৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘কমিশনের’ মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ কমিটি করতে সবার মতামত নিতে এ কমিশন করা হয়।
কমিটির চার শীর্ষ নেতাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য রিফাত রশীদ বলেন, দেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাইয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন শহীদসহ আনুমানিক ২ হাজারের অধিক শহীদ ও অর্ধলক্ষ্য আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামীর বাংলাদেশ বিনিমার্ণে বৈষম্যবিরোধী দ্বায় আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাইম আবেদিন বলেন, যখন সব স্থানে পুলিশ র্যাব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করছিলো তখন রামপুরা-বাড্ডা উত্তরাঞ্চল এবং সিলেট ও চট্টগ্রামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে শেখ হাসিনা রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল এখন তারা কথা বলতে শিখেছে।
প্ল্যাটফর্মটির কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদ আহসান বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু আমাদেরকে জুলাইয়েই সহযোগিতা করেনি তারা এর আগেও সহযোগিতা করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা এই আন্দোলনে শুরু হয়নি তারা এর আগেও আমাদেরকে রাজনৈতিক সহযোগিতা করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী পেয়েছি। এরমধ্যে অন্যতম হলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীদেরকে রাজনীতিতে ধরে রাখতে হবে। তাদেরকে রাজনীতিতে যুক্ত করা আমাদের সবচেয়ে বড় একটি দায়িত্ব।