‘নীরব এলাকায়’ হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিতকরণ কর্মসূচি | বিবিধ নিউজ

‘নীরব এলাকায়’ হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিতকরণ কর্মসূচি

‘নীরব এলাকায়’ হর্ন বাজালে জরিমানাসহ কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। যদিও তাতে এসব নীরব এলকায় বন্ধ হয়নি হর্ন বাজানো। তবে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর কয়েকটি এলাকাকে “নীরব এলাকা” হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় হর্ন বাজালে জরিমানাসহ কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। যদিও তাতে এসব নীরব এলকায় বন্ধ হয়নি হর্ন বাজানো। তবে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এবার শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী জনসচেতনতামূলক নীরব এলাকায় হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিতকরণ কর্মসূচি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের সামনের সড়কে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এই কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।

২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি সরকার ঘোষিত নীরব এলাকায় সচিবালয়ের চতুর্দিকে (শিক্ষা ভবন মোড়, জিরো পয়েন্ট, পল্টন মোড়, কদম ফোয়ারা) এবং আগারগাঁও এলাকায় (শিশু হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, বাংলাদেশ বেতার মোড় এবং নিউরোসাইন্স হাসপাতালের সামনে) জনসচেতনতামূলক “নীরব এলাকায় হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিতকরণ কর্মসূচি” ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

“শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প” এর আয়োজনে এবং গ্রীণ ভয়েস ও ক্যাপসের সহযোগিতায় সপ্তাহব্যাপী “নীরব এলাকায় হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিতকরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান, এনডিসি, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ফরিদ আহমেদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু, গ্রীণ ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির, ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানী ঢাকার সচিবালয় এলাকা এবং আগারগাঁও এলাকাকে অনেকদিন আগে নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষনা করা হলেও কার্যত বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং জনসচেতনতার মাধ্যমে নীরব এলাকাকে শব্দদূষণমুক্ত রাখা সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা-২০০৬ অনুসারে নীরব এলাকায় হর্ন বাজানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে উল্লেখ থাকলেও সরকার জনসচেতনতার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।

এতে আরো বলা হয়, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই শতাধিক সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে হর্ন বাজানো নিষেধ, নো হর্ন, শব্দদূষণ শ্রবণ শক্তি নষ্ট করে, শব্দদূষণ বহুবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ ও আসুন, অযথা হর্ন না বাজাই এরকম বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্লেকার্ড, ফেস্টুন এবং ব্যানার নিয়ে সচিবালয়ের সামনের সড়কে প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করাই এই আয়োজনের লক্ষ্য বলে আয়োজকরা জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন যানবাহনে অযথা হর্ন না বাজানোর শ্লোগান সম্বলিত ষ্টিকার লাগানো হয় একইসাথে পথচারী ও গাড়ী চালকদের মাঝে শব্দদূষণের বিভিন্ন তথ্যসম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ঢাকা (দক্ষিণ) সিটি কর্পোরেশন আন্তরিক সহযোগিতায় এই আয়োজন সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশেই এ ধরনের ক্যাম্পেইন কার্যক্রম অব্যাহত আছে উল্লেখ করে আয়োজকদের পক্ষ থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।