অনুমতি ছাড়া কমিটিতে নাম রাখায় পদত্যাগ করেছেন রিফাত রসিদ | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

অনুমতি ছাড়া কমিটিতে নাম রাখায় পদত্যাগ করেছেন রিফাত রসিদ

নতুন ছাত্রসংগঠন "গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ" এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কমিটিতে আমার নাম ঘোষণা করার আগে আমার থেকে কনফার্মেশন নেয়া হয়নি। দফায় দফায় আলোচনা হয়েছিলো কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলত অনুমতি ব্যতীত আমার নাম কমিটিতে রাখায় আমি এই পদ থেকে সরে এসেছি।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নবগঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি অনুমতি ছাড়া রিফাত রসিদের নাম দেয়ায় কমিটি ঘোষণার এক দিনের মাথায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দলটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।

রিফাত রসিদ নবগঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত হন।কমিটি ঘোষণার এক দিনের মাথায় তিনি পদত্যাগ করেন।

পদত্যাগের বিষয়ে রিফাত রসিদ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে বলেন, নতুন ছাত্রসংগঠন "গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ" এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই কমিটিতে আমার নাম ঘোষণা করার আগে আমার থেকে কনফার্মেশন নেয়া হয়নি। দফায় দফায় আলোচনা হয়েছিলো কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলত অনুমতি ব্যতীত আমার নাম কমিটিতে রাখায় আমি এই পদ থেকে সরে এসেছি।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ একটি স্বতন্ত্র উদ্যোগ হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরো সাংগঠনিক সেট আপ, লিডারশীপ থেকে শুরু করে বৈছাআ এর পেজকেও নতুন ছাত্র সংগঠন এর প্রোমোশনে কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু বৈছাআকে একটি সংগঠন আকারে যারা এতোদিন টেনে নিয়ে গেছে তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি, তাদের অংশগ্রহণ ছিলো না খুব একটা ছাত্র সংগঠন গঠনের ক্ষেত্রে। বিশেষত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় সহ সবার কালেক্টিভ একটি ক্ষোভ সেখানে উপস্থিত ছিলো। সবার প্রশ্ন ছিলো, যদি স্বতন্ত্র উদ্যোগ হয় তাহলে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' সেট আপকে কেনো ব্যবহার করা হচ্ছে ছাত্র সংগঠন নির্মানের ক্ষেত্রে? এই প্রশ্নটাই বারবার করা হয়েছে।

রিফাত বলেন, নতুন ছাত্র সংগঠন এ প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিলো আমি সদস্য সচিব হবো। এরপর আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে মুখ্য সংগঠক, পরবর্তীতে সেখান থেকেও সরিয়ে মুখপাত্র করার প্রস্তাবনা করে। সবশেষে সেখান থেকেও মাইনাস করে আমাকে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব পদে আসার প্রস্তাব করে। মুখপাত্র পোস্ট পর্যন্ত প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমি কালেক্টিভ স্বার্থের কথা ভেবে মেনে নিয়েছি। যখন যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে নাম প্রস্তাব করা হয় তখন আমি স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেই, এই ছাত্র সংগঠনে আমি থাকবো না। এইটা জানিয়ে দেয়ার পর আর কোনো মিটিং, সংগঠন গঠনের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি এবং লিটারেচার টিমের কোনো কাজের সাথেই যুক্ত ছিলাম না। আমি পুরোপুরি এই সংগঠন গঠনের সমস্ত প্রসেস থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম। প্রাইভেট ও মহানগর থেকে সার্চ কমিটিতে রিপ্রেজেনটেটিভ দিয়ে গিয়েছিলাম।তাদেরকে পজিট করানো আমার দায়িত্ব ছিলো, আমি সেই দায়িত্ব পালন করে সরে গিয়েছি।

#ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়