জাবিতে সাঁওতালদের ‘বাহা বঙ্গা উৎসব’ অনুষ্ঠিত | বিশ্ববিদ্যালয় নিউজ

জাবিতে সাঁওতালদের ‘বাহা বঙ্গা উৎসব’ অনুষ্ঠিত

রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির পরিচালক হরেন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘বাহা উৎসব সাঁওতালদের নিজস্ব সংস্কৃতির উৎসব। এটি বসন্তকালে হয়ে থাকে। সাঁওতালি ভাষায় বাহা মানে ফুল। বসন্ত ঋতুতে বিশেষ করে শাল গাছে গাছে নতুন ফুল ফুটলে সাঁওতাল সম্প্রদায় এ উৎসব পালন করে। এই অনুষ্ঠানটিতে মূলত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মঙ্গল ও তাদের জীবিকায় সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।’

#বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নাচে-গানে-মাদলে সাঁওতালদের নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতি অনুযায়ী ‘বাহা বঙ্গা পরব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ছায়ামঞ্চে বাহা বঙ্গা উদযাপন কমিটির আয়োজনে সকাল থেকে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানে ছিলো বর্ণাঢ্য সব আয়োজন।

সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মহিলারা লাল পাড়ের হলুদ শাড়ি ও সাঁওতাল পুরুষরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ‘মাদল’ এবং ‘ধমসা’ বাজিয়ে উৎসবে অংশ নেন। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

উৎসবে দেবতাদের উদ্দেশে পূজা, ফুল বিতরণ, গান পরিবেশন ও বর্শা নিক্ষেপের আয়োজন করা হয়। তবে মূল আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী বাহা নৃত্য।

রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির পরিচালক হরেন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘বাহা উৎসব সাঁওতালদের নিজস্ব সংস্কৃতির উৎসব। এটি বসন্তকালে হয়ে থাকে। সাঁওতালি ভাষায় বাহা মানে ফুল। বসন্ত ঋতুতে বিশেষ করে শাল গাছে গাছে নতুন ফুল ফুটলে সাঁওতাল সম্প্রদায় এ উৎসব পালন করে। এই অনুষ্ঠানটিতে মূলত সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মঙ্গল ও তাদের জীবিকায় সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।’

বাহা বঙ্গা উদযাপন কমিটি ঢাকার আহ্বায়ক নিরালা মারডি বলেন, ‘অন্যান্য জনগোষ্ঠী যেমন তাদের নিজস্ব সম্প্রদায়ের উৎসব পালন করে থাকে যেমন পাহাড়িরা জুম, বাঙালিরা নববর্ষ তেমনি আমরাও বাহা বঙ্গা পালন করে থাকি। আমরা চাই রাষ্ট্রীয়ভাবে যাতে আমাদের এই উৎসব পালন করা হয়।

দিনব্যাপী এ আয়োজনের সমাপনী অধিবেশনে বক্তারা সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

#বিশ্ববিদ্যালয়