শনিবার বইমেলা শুরু বেলা ১১টায়, থাকবে শিশুপ্রহর | বই নিউজ

শনিবার বইমেলা শুরু বেলা ১১টায়, থাকবে শিশুপ্রহর

অন্যদিকে বরাবরের মতো আজও জমজমাট বইমেলায় ছিল নতুন বইয়ের ছড়াছড়ি৷ বিগত দিনগুলোর তুলনায় আজ প্রকাশিত হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক বই। যার পরিমাণ ৩০৭টি৷ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ মেলা শুরু হয় সকাল ৭টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।

ছুটির দিন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অমর একুশে বইমেলা শুরু হবে বেলা ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এছাড়া শুরুর সময় থেকেই বেলা ১টা পর্যন্ত মেলায় আসা শিশুদের আনন্দ দিতে থাকবে শিশুপ্রহর।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এছাড়া, বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘জীবন ও কর্ম : কায়কোবাদ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইমরান কামাল। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন হাবিব আর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন আবু দায়েন।

অন্যদিকে বরাবরের মতো আজও জমজমাট বইমেলায় ছিল নতুন বইয়ের ছড়াছড়ি৷ বিগত দিনগুলোর তুলনায় আজ প্রকাশিত হয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক বই। যার পরিমাণ ৩০৭টি৷ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ মেলা শুরু হয় সকাল ৭টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত।

সকাল ৮টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। স্বরচিত কবিতাপাঠে প্ৰায় দেড় শতাধিক কবি কবিতা পাঠ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন কবি হাসান হাফিজ।

পরে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে বক্তৃতা ২০২৫। স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।

‘ভাষার লড়াই, গণ-অভ্যুত্থান ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, একুশের চেতনা আমাদের মাঝে এক প্রাত্যহিক বর্তমানময়তা হয়ে সতেজ রূপে বহমান আছে। একুশ অতীত নয়, এটি প্রকৃতপক্ষেই বর্তমান। বাংলাদেশের ইতিহাসে ৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয়, এর পরবর্তী ন্যায্যতা ও পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপট-এই তিন ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড়ো ভূমিকা পালন করেছিল। তাই সংগত কারণেই একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষকে অন্তরঙ্গতায় এবং আবেগময়তায় সিক্ত করে।

এ প্রাবন্ধিক বলেন, ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের শুরু হয়ে মাতৃভাষার অধিকার এবং পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাভাষা প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিক আন্দোলন ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে ফেব্রুয়ারি শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছিলো।

তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলনের প্রেরণাই ছিল পরবর্তী ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলন এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের শক্তি। ন্যায়সংগত, বৈষম্যমুক্ত সমাজের আকাক্সক্ষা নিয়েই আমরা মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে নিরন্তর সংগ্রাম করেছি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায়ভিত্তিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা আজ প্রথমেই প্রশ্ন তুলতে পারি মাতৃভাষার অধিকার এবং নির্দিষ্টভাবে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার অবস্থান নিয়ে। প্রকৃতপক্ষে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে বৈষম্যের উৎস নির্মূল করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ইতিহাস কেবল অতীতের বিষয়ই নয়। এটি পরিবর্তনের রহস্য উদ্ঘাটনের বিদ্যা। জাতীয় সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদেরকে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক ও জাতীয় সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হতে হবে। এর মাধ্যমেই আমরা একটি উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য অগ্রসর হতে পারব।

আজ লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন, কবি মোহন রায়হান এবং কবি আবিদ আজম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি রুম্মানা জান্নাত, কবি নিলয় রফিক ও কবি কাজিম রেজা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী শাহিন পারভীন, অধরা সরকার রিয়া, এ কে এম সাইদ হোসেন, তাহরিমা বতুল রিভা, লায়েকা বশীর, বিটু কুমার শীল, শেখ জেরিন শবনম, সৈয়দা সনজিদা জোহরা বীথিকা, শ্রাবণী পাইক, আরিফা নিশাত, বিভাস রঞ্জন মৈত্র, প্রেমা দাস।