বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়: যেকোনো বাধা কেনো অবৈধ হবে না! | সম্পাদকের কলাম নিউজ

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়: যেকোনো বাধা কেনো অবৈধ হবে না!

আইনের কোনো ডিগ্রি না থাকা বা আইন প্র্যাকটিস না করা মিজানুর রহমান খানের জানাজা ও মরদেহকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলো সুপ্রিমকোর্ট। আদালতের ইতিহাসে একমাত্র ব্যতিক্রম। বেঞ্চ ও বার, মত ও পথ, দল ও বল নির্বিশেষে সেদিন সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণের ওই জানাজায় প্রায় সবাই শরিক হয়ে বিরল সম্মান দেখিয়েছিলেন। [যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শোকবাণীও দেননি, জানাজায়ও যাননি] এখনও আইনঙ্গনের কারো সঙ্গে নতুন পরিচয় হলে আমাকে মনে করিয়ে দেন যে, ‘মিজান ভাইয়ের সম্মানে সুপ্রিমকোর্ট যেটা করেছে, এমনটা করার মতো আর কোনো সাংবাদিক হয়তো আসবে না।’

#সম্পাদক #সিদ্দিকুর রহমান খান #মিজানুর রহমান খান #হাইকোর্ট

জুলাই অভ্যুত্থানে পট পরিবর্তনের পর মাননীয় প্রধান বিচারপতি, আইন উপদেষ্টা, সংস্কার কমিশন ও জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দসহসহ যাদের মুখেই বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের কথা শুনেছি ততবারই মনে পড়েছে সংবিধান বিশ্লেষক ও লেখক মিজানুর রহমান খানের কয়েকটি নিবন্ধ ও গবেষণাধর্মী প্রতিবেদনের কথা। আমার প্রিয় শিক্ষাখাতে একটা সংস্কার কমিশন না হওয়ায় মন খারাপ থাকলেও সংবিধান ও আইন আদালতে ইতোমধ্যে ঘটে যাওয়া অনেক সংস্কার দেখে এবং আরো বড় ও স্থায়ী সংস্কারের আশাবাদীদের অন্যতম হয়ে উঠেছি।

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়: যেকোনো বাধা কেনো অবৈধ হবে না!

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়: যেকোনো বাধা কেনো অবৈধ হবে না!

এরই মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল সাত সকালে ইত্তেফাকের শেষের পাতার ‘বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ে বাধা ১১৬ অনুচ্ছেদ! শিরোনামটা দেখে কেমন যেন অনুভুত হলো। পড়ে নিলাম একশ্বাসে। যোগাযোগ করলাম আইনসংশ্লিষ্ট বিদগ্ধ কয়েকজনের সঙ্গে। তারা যা কিছু জানালেন তার শিরোনাম হতে পারে ‘১১৬ অনুচ্ছেদের যতো ডাইভারশন’। অথবা ১১৬ অনুচ্ছেদ কোনো বাধাই নয়। তাদের দেওয়া যুক্তিতে ইত্তেফাক প্রতিবেদন পাঠান্তের তাৎক্ষণিক হতাশা থেকে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। মনের অজান্তে তাকালাম আমার নিত্যযাতায়তস্থল শিক্ষা ভবনের নিকটতম প্রতিবেশী মন জুড়ানো বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টর বিশাল সাদা শুভ্র ভবন ও খোলা মাঠের দিকে। হলফ করে বলতে পারি, আমার এই তাকানো যে কোনো সাংবাদিক ও লেখকের চাইতে আলাদা। আর সেটার কারণ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টর কাছে ঋণ ও কৃতজ্ঞতা। আর ঋণ পরিশোধে আমার পারিবারিক শিক্ষা --- ‘ঋণ পরিশোধের সূত্র হলো-- ঋণ কখনো শোধ করা যায় না।’

আইনের কোনো ডিগ্রি না থাকা বা আইন প্র্যাকটিস না করা মিজানুর রহমান খানের জানাজা ও মরদেহকে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলো সুপ্রিমকোর্ট। আদালতের ইতিহাসে একমাত্র ব্যতিক্রম। বেঞ্চ ও বার, মত ও পথ, দল ও বল নির্বিশেষে সেদিন সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণের ওই জানাজায় প্রায় সবাই শরিক হয়ে বিরল সম্মান দেখিয়েছিলেন। [যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক শোকবাণীও দেননি, জানাজায়ও যাননি] এখনও আইনঙ্গনের কারো সঙ্গে নতুন পরিচয় হলে আমাকে মনে করিয়ে দেন যে, ‘মিজান ভাইয়ের সম্মানে সুপ্রিমকোর্ট যেটা করেছে, এমনটা করার মতো আর কোনো সাংবাদিক হয়তো আসবে না।’

২.

এবার ১১৬ অনুচ্ছেদটা দেখি। যেখানে বলা হয়েছে, ‘বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধান {রাষ্ট্রপতির} উপর ন্যাস্ত থাকিবে।’

১৯ এপ্রিলের ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “সংবিধানের এই অনুচ্ছেদের ফলে বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের পদায়ন, বদলি, পদোন্নতি, ছুটি, শৃঙ্খলা ইত্যাদি নির্বাহী বিভাগের আওতায় রয়ে গেছে। এসব কাজ রাষ্ট্রপতির পক্ষে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ করে থাকে।

একইভাবে অধস্তন আদালতের বিচারকদের ওপর সুপ্রিম কোর্ট এবং আইন মন্ত্রণালয়—এই দুটি কর্তৃপক্ষের যুগপৎ নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা দ্বৈত শাসনের অংশ হিসেবে বিচারকর্ম বিভাগের সব বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় তথা সরকারের ওপর নির্ভরশীল।”

১১৬ অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করে রিটকারী আইনজীবী শিশির মনিরের জবানিতে ইত্তেফাক লিখেছে, ‘এখানে একটি বড় বাধা আছে, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ। এটাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছি।

যে মামলায় আদি সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার আবেদন করেছি। সেই মামলায় হাইকোর্ট কর্তৃক জারিকৃত রুল বিচারাধীন রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ রুল শুনানিতে সময় নিয়েছে। আশা করি, রাষ্ট্রপক্ষ নতুন করে এই মামলায় আর সময় নেবে না।

এটাকে নিষ্পত্তির উদ্যোগে নেবে। মামলা নিষ্পত্তি করে বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে।’

৩.

এবার দেখে নিই আসলেই কী ১১৬ অনুচ্ছেদে আটকে আছে? ১৯ এপ্রিল সকালে একাধিক আইনজ্ঞ এই লেখককে নিশ্চিত করেছেন, ‘সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে সংশোধনী না এনেও এটা করা সম্ভব। আইন বা সংবিধান সমর্থন করবে, বাধা দেবে না। সমাধানের পথও বাতলে দিয়েছেন তারা। বলেছেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ডেলিগেটেড পাওয়ার দেবেন সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়কে। আইন মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় ফাইল ইনিসিয়েট করবেন।

সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সুপ্রিমকোর্ট সচিবালয় বিচারকদের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আদেশ জারি করবেন।

আরেকজন আইন সংশ্লিষ্টর মতে, পৃথক সচিবালয় হচ্ছে ১০৯ অনুচ্ছেদের অধীনে। যেখানে বলা আছে, “হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন সকল 1[আদালত ও ট্রাইব্যুনালের] উপর উক্ত বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা থাকিবে।”

৪.

বিচার বিভাগের জন্য পূর্ণাঙ্গ সচিবালয় প্রসঙ্গে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে মিজানুর রহমান খানের এক লেখায় পাই, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অধস্তন আদালতের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা টাকার অভাবে নয়। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর সরকার যে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে চলছে, সেই স্থিতাবস্থা খর্ব না করাই এর উদ্দেশ্য।’

একই লেখায় জনাব খান আরো বলেন, সরকার থেকে মুখে বড় করে না বললেও আকারে–ইঙ্গিতে মামলাজটের জন্য তারা বিচার বিভাগকেই দায়ী করে থাকে। নীতিগত কারণে এটা বলতে হবে যে প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয় চত্বরে স্বাধীন আদালতের স্বাধীন প্রশাসনের দপ্তর থাকতে পারে না। এটি বিদ্যমান সংবিধানের চেতনাবিরুদ্ধ। অবিলম্বে সচিবালয় থেকে আইন ও বিচার বিভাগের অধিকাংশ লোকবল ও শাখা-প্রশাখা সুপ্রিম কোর্টের চত্বরে সরিয়ে আনার উদ্যোগ নিলে আমরা বুঝব যে সরকার বিচার বিভাগের অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে সংশোধনী না এনেও এটা করা সম্ভব। আইন বা সংবিধান সমর্থন করবে, বাধা দেবে না।

বিচার প্রশাসনের (রায় বা আদেশ প্রসঙ্গে নয়) জবাবদিহির বিষয়ে গণমাধ্যম একটা ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু প্রশাসনিক তথ্যপ্রবাহ অবাধ করার বিষয়টি এখন পর্যন্ত যথেষ্ট আলগা করেই রাখা হয়েছে। কোর্ট প্রতিবেদকদের শক্তিশালী সংগঠন গড়ে উঠেছে। সুপ্রিম কোর্টের আঙিনায় তাঁরা মর্যাদার সঙ্গে বসতে পারছেন।

কিন্তু যার অভাব প্রকট সেটা হলো, ওই সংগঠনের সঙ্গে আদালতের মুখপাত্রের কোনো সম্পর্ক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক, তার কোনো তোড়জোড় নেই।

আইন ও বিচার বিভাগ এবং লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং উইংয়ের দুই সচিবকে অবশ্যই একটা সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে হাজির করানো দরকার। সবকিছুর দায়, সবকিছুর কৈফিয়ত সব সময় কেন মন্ত্রী দেবেন। গত এক দশকে তাঁরা সাংবাদিকদের অনুরোধে বা তাঁদের প্রয়োজন মেটাতে একক ব্রিফিংয়ে হাজির হয়েছেন বলে জানা নেই।

অথচ রুলস অব বিজনেস বলেছে, প্রত্যেক সচিব তার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

জনাব খান আরো লেখেন: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩। সুপ্রিম কোর্টের চত্বরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বিচার বিভাগীয় সচিবালয় উদ্বোধন করবেন। আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হলো। তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ উদ্যোগী। কিন্তু জানা গেল সরকারের ওপর মহল নারাজ।

তাদের ভুল বুঝিয়েছিলেন সদ্য অবসরে যাওয়া আইন মন্ত্রণালয়েরই একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা।

তবে বিচার বিভাগীয় সচিবালয়ের এই নামফলক স্মৃতিস্মারক হয়ে আজও সুপ্রিম কোর্টের দেয়ালে রয়েছে।

আদালত, সংসদ ও নির্বাহী বিভাগের যাঁতাকলে পিষ্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রায় সব ঘটনাবলী নির্ভীকভাবে তুলে ধরে নিজেও ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়েছিলেন জনাব খান।

উচ্চ আদালতে নোবেলজয়ীর নির্যাতনের প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে অপর এক লেখা থেকে কয়েক পংক্তি তুলে ধরছি।

“এক নোবেলজয়ীকে কুপোকাত করতে রাষ্ট্র ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়ে আরেক নোবেলজয়ীর ওপর ভর করেছেন।

ইউনূসকে অনির্দিষ্ট মেয়াদে ব্যাংকে রাখতে রেহমান সোবহান ব্যাংকের বোর্ড সভায় যথার্থ যুক্তি দেন। আদালতে রাষ্ট্রের আইনজীবী তাঁকে কটাক্ষ করেন। ‘দুই বিঘা জমি’ থেকে বলেন, ‘বাবু যতো বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ।’ আর দীপু মনি [তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী] সংবাদ সম্মেলনে আবৃত্তি করেন রবীন্দ্রনাথ। বয়সটাই যে আইনি বাধা, সেটাই তিনি বোঝান। তাঁর সুন্দর বচন শুনে মনে হবে, আহা! সরকার চক্ষুষ্মান, কিন্তু আইনের চোখ তো অন্ধ।

দীপু মনি বলেন, ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, সে কখনো করে না বঞ্চনা’।

আমার বিশ্বাস, রাষ্ট্রে যোগ্যতম লোকের নেতৃত্বই ভোটাধিকার-অসেচতন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জীবনমান বাড়াবে। ক্ষুদ্রঋণ অন্যতম হাতিয়ার মাত্র। তবে এখন সত্য কী? সরকারি প্রচারযন্ত্র কোটি কোটি টাকা তছরুপের গল্প শোনাচ্ছে।

আমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস করি না। শ্রদ্ধেয় রবীন্দ্রগবেষক আহমেদ রফিককে সত্য বলে বিশ্বাস করি। শনিবার তিনি আমাকে বললেন, ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ। ইউনূসের ঋণদানের ৭৫ বছর আগের কথা। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ। পতিসরে কৃষি ব্যাংক বসে। রবীন্দ্রনাথ শতকরা আট শতাংশ সুদে ঋণ নিতেন। কৃষকদের দিতেন চার শতাংশ বেশি সুদে। নোবেল পুরস্কারের অর্থের সিংহভাগ (এক লাখ ১২ হাজার টাকা) তিনি ওই ব্যাংকে জামানত রেখেছিলেন। জমিদার রবীন্দ্রনাথকে কেউ ‘রক্তচোষা’ বলেছিল কি না জানি না।

তবে রবীন্দ্রনাথ কিন্তু ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতা রচনা করেছিলেন পতিসরেই, হয়তো কোনো উপেনের জমি কেড়ে নেয়ার ঘটনা তাঁকে বিচলিত করেছিলো।

আমি বড় রসসিক্ত হলাম। বৃহস্পতিবার সকালে দেখি আদালতে ইউনূসকে জব্দ করতে রবীন্দ্রনাথ, পরদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রবীন্দ্রনাথ। ইউনূসকে ‘গরিবের রক্তচোষা’ বলার ধরন দেখে হাসি পায়। রাজনীতিকদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছিলেন তিনি।

হঠাৎ আইন ‘আপন গতি’ নেয়। তাঁর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আদালতে স্বতঃস্ফূর্ত মামলার হিড়িক পড়েছিলো। এসবের একটা সমুচিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে ক্ষুদ্রঋণ-গুরু রবীন্দ্রনাথকেই ধ্যান করি।

আদালতকক্ষে ড. ইউনূসের ঠিক পেছনে বসেছিলাম। রাষ্ট্র যখন বলল, ইউনূস ‘ধানাইপানাই’ করেছেন, সরকারের ৬০ ভাগ মালিকানা কমিয়ে ২৫ ভাগ

করেছেন, তখন ইউনূসের এক পরিহাসসূচক অভিব্যক্তি চোখে পড়ে। পরম করুণাময়ের কাছে প্রার্থনা করি, গ্রামীণ ব্যাংক যেনো কখনো আদমজীতে পরিণত না হয়। ড. ইউনূস রবীন্দ্রনাথেই সান্ত্বনা পেতে পারেন: ‘বাবু কহে হেসে, বেটা সাধুবেশে পাকা চোর অতিশয়!’ আমি শুনে হাসি, আঁখিজলে ভাসি, এই ছিল মোর ঘটে। তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে।”

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় বাধা হিসেবে যা কিছুই প্রচার করা হবে বা বলা হবে জনগণ তার সবই ‘ধানাইপানাই’ জ্ঞান করবেন।

#সম্পাদক #সিদ্দিকুর রহমান খান #মিজানুর রহমান খান #হাইকোর্ট