সাত কারণে লক্ষাধিক শিক্ষক পদ শূন্য | শিক্ষক নিবন্ধন নিউজ

এনটিআরসিএর অনুসন্ধান সাত কারণে লক্ষাধিক শিক্ষক পদ শূন্য

পদশূন্যের এক নম্বর কারণ হিসেবে এনটিআরসিএ মন্ত্রণালয়কে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছর নির্ধারণ করায় প্রথম থেকে পঞ্চদশ পরীক্ষা পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তির আওতায় শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ সুপারিশ করা যায়নি। পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় শতকরা ১৫ ভাগ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেননি, ফলে পদ শূন্য রয়েছে।

#এনটিআরসিএ #শিক্ষক নিবন্ধন

শিক্ষক সঙ্কটে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যাহত। চাকারির আশায় গ্রাজুয়েটরা ছুটছেন নিয়োগ পরীক্ষার পেছনে। এটা মুদ্রার একপিঠ। অপরপিঠের খবর আরো খারাপ। এবার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) তালাশে উঠে এসেছে এক লাখ এগারো হাজার একশ ৪২টি এমপিওভুক্ত শূন্য পদের তথ্য। এমপিওর বাইরের শূন্যপদের অনুসন্ধান করেনি এনটিআরসিএ। যদিও আইনে বলা হয়েছে, বেসরকারি। এমপিও-ননএমপিও বলা হয়নি।

সাত কারণে লক্ষাধিক শিক্ষক পদ শূন্য শুধু শূন্যপদের সঠিক তালিকাই নয়। পদ শূন্য থাকার সুনির্দিষ্ট কারণও উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে এনটিআরসিএ। উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়াসহ সাতটি কারণ খুঁজে পেয়েছে তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পদশূন্যের এক নম্বর কারণ হিসেবে এনটিআরসিএ মন্ত্রণালয়কে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছর নির্ধারণ করায় প্রথম থেকে পঞ্চদশ পরীক্ষা পর্যন্ত নিবন্ধিত প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশ বিজ্ঞপ্তির আওতায় শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ সুপারিশ করা যায়নি। পঞ্চম নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় শতকরা ১৫ ভাগ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেননি, ফলে পদ শূন্য রয়েছে।

এনটিআরসিএ আরো বলেছে, পঞ্চম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্য প্রার্থীর স্বল্পতার কারণে অনেক পদ শূন্য রয়ে গেছে। সম্মিলিত জাতীয় মেধা তালিকার কারণে পছন্দ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানে প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত না হওয়ার কারণে পদ শূন্য থাকে। এছাড়া সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর এমপিওভুক্তির জটিলতায় পদত্যাগ করেন। এ কারণেও অনেক পদ শূন্য হয়। পদ শূন্য থাকার আরো কারণের মধ্যে রয়েছে- বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন কাঠামো বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুগোপযোগী না হওয়ায় অনেকে শিক্ষকতা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যান। মেধাবী ও অধিকতর যোগ্য প্রার্থীরা বেশি বেতন-ভাতার চাকরিতে চলে যাওয়া অনেক পদ শূন্য হয়।

পদশূন্য থাকার আরেক কারণ মহিলা কোটা। এলাকাভিত্তিক মহিলা কোটা ২০ থেকে ৪০ শতাংশ থাকার ফলে নিজ বাড়ী থেকে দূরের প্রতিষ্ঠানে মহিলা প্রার্থীরা আবেদন না করায় এই কোটার পদ শূন্য থেকে যাচ্ছে। এছাড়া নিজ এলাকা থেকে দূরের প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হলে মহিলা প্রার্থী সুপারিশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান না করায় পদ শূন্য থাকে।

জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অধীনের প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শূন্য রয়েছে ৪৬ হাজার ৪১৪টি পদ। মাদরাসা ও কারিগরি বিভাগের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানে শূন্য রয়েছে ৫৪ হাজার ৭২৮টি পদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এমনটা হওয়া মোটেই কাম্য নয়। আমরা এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম যে উদ্দেশ্যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা ভুল পদক্ষেপে সেই উদ্দেশ্য অনেকখানি ব্যাহত হয়েছে।

#এনটিআরসিএ #শিক্ষক নিবন্ধন