গাজীপুরের শ্রীপুরে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী শহীদ মিনার লাথি দিয়ে ভাঙা দুই শিক্ষার্থীকে শাস্তি হিসেবে প্রতিদিন স্কুল পরিষ্কার করতে হবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের এ শাস্তি আরোপ করে।
জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবসে প্রভাতফেরির পর গাজীপুর মডেল পাবলিক স্কুলে অস্থায়ী শহীদ মিনার লাথি দিয়ে ভাঙার ঘটনা ঘটে। ওই স্কুলের দুই ছাত্র এ ঘটনা ঘটায়। স্কুলটি শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে অবস্থিত। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত তাদের সামাজিক শাস্তির আওতায় আনা হয়। অভিযুক্ত দুজন ওই স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। ওই আলোচনা মধ্যস্থতা করেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ। আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিকভাবে স্কুলে এসে যথাসময়ে নির্ধারিত ক্লাসে অংশ নেবে। তবে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর আগে তাদের বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হবে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজীব আহমেদ বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থীর বয়স কম হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্কুলের পক্ষ থেকে তাদের ওপর এই মানবিক শাস্তি আরোপ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বলে, আমি বুঝতে পারিনি। না বুঝে কাজটি করে ফেলেছি। ভুল হয়ে গেছে।
স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা শফিকুল ইসলাম জনী বলেন, আমরা এই ঘটনায় ব্যথিত হয়েছি। বাঙালির আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। আমরা ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছি। তিন কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ইউএনও ইতোমধ্যে তাদের শাস্তি দিয়েছেন।