জুলাই আনন্দোলনের বিরুদ্ধে জড়িত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অনেক শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বহিষ্কারকে না করায় পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাখা ছাত্রদল। এর আগে সিন্ডিকেট সভায় ১২শিক্ষক, ৭ জন কর্মকর্তা ও ১১ কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি দাবি করছে, জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া এবং নিপীড়নে যুক্ত অনেকেই প্রশাসনিক পক্ষপাতের কারণে শাস্তির আওতায় আসেননি। ছাত্রদলের নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের আরো কঠোর আন্দোলনের মুখে পড়তে হবে।
ছাত্রদলের অভিযোগ, গণ-অভ্যুত্থানের সময়কার অপরাধীদের শাস্তির ক্ষেত্রে প্রশাসন দ্বৈতনীতি অনুসরণ করেছে। তারা বলেন, আন্দোলন দমনে সক্রিয় অনেক ব্যক্তি, যারা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো, তারা এখনো প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আছেন। পক্ষপাতদুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের নেতারা জানান, প্রশাসনের হাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ— স্থিরচিত্র, ভিডিয়ো চিত্র থাকা সত্ত্বেও অনেক অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বরং এলাকা প্রীতি ও আনুগত্যের ভিত্তিতে বহিষ্কার তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, প্রশাসনকে দ্রুত এসব 'আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর, সুবিধাভোগী এবং উচ্ছিষ্টভোগীদের' বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।