সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে পরীক্ষার খাতা দেখতে না দেয়ায় সহপাঠীদের মারধরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত শিক্ষার্থীর নাম ইমন হোসেন (১৬)। তিনি খুকনী ইসলামপুর গ্রামের ইমদাদুল মোল্লার ছেলে ও খুকনী উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বখাটে সহপাঠীদের দায়ী করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
নিহতের পিতা ইমদাদুল মোল্লা ও স্বজনেরা জানান, গত ১৭ এপ্রিল এনায়েতপুর ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা চলাকালে কয়েকজন বখাটে সহপাঠী ইমনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিতে চায়। তখন সে বারণ করলে পরদিন শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে ওই বখাটেদের পরামর্শে একই গ্রামের তার সহপাঠী রাজিম ও রাব্বি বাড়ি থেকে ইমনকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর পার্শ্ববর্তী বেলকুচি থানার দৌলতপুর নতুন পাড়ায় নিয়ে কয়েকজন মিলে ইমনকে বেদম মারধর করে।
খবর পেয়ে ইমনের পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত বুধবার বাড়ি নিয়ে আসে। এরপর শুক্রবার ভোর রাতে তার অবস্থা আবারও বেগতিক হলে স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন মারা যায়।
নিহত ইমনের বাবা ইমদাদুল মোল্লা অভিযোগ করে জানান, আমার ছেলে নম্র-ভদ্র ও মেধাবী ছিল। পরীক্ষার খাতা দেখে নকল করতে না দেওয়ায় তাকে এভাবে হত্যা করবে আমি কখনো ভাবিনি। আমি দায়ীদের দ্রুত আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে এনায়েতপুর থানার ওসি মো. রওশন ইয়াজদানী জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে। তবে তাকে মারধরের স্থানটি বেলকুচি থানার মধ্যে হলে সেখানে মামলা হবে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।