পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। হাতে কাঁচি। পুরুষ পরীক্ষার্থীদের জামা কেটে চলছে তল্লাশি। মহিলাদের গায়ের গয়নাও খুলিয়ে রাখা হচ্ছে। রাজস্থানের সরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় (আরইইটি) এ ভাবে কড়া তল্লাশির পরেই পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। এমনই দাবি করেছেন পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতি রাজস্থানে শুরু হয়েছে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা, চলবে শুক্রবারও। সেই পরীক্ষায় টোকাটুকি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসন।
গত কয়েক বছরে রাজস্থানে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় টোকাটুকির অভিযোগ উঠেছে। এ বার তাই কড়া হয়েছে প্রশাসন। চলতি বছর রাজস্থানে ১৪ লক্ষ জন শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা দিচ্ছেন। প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষা দিচ্ছেন ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৬২৫ জন। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫০১। হাতের ছাপ দিয়ে (বায়োমেট্রিক) এবং মুখ স্ক্যান করে তবেই পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে।
পরীক্ষার্থীদের একাংশের দাবি, পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক জন পুরুষ পরীক্ষার্থীর জামার অংশ কেটে দিয়েছেন রক্ষীরা। কারও জামার কলার কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে, কারও শার্টের হাতা। মহিলাদের গয়না খুলে পরখ করা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, মহিলারা সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি বা ফুলহাতা টপ পরে পরীক্ষা দিতে যেতে পারবেন। পুরুষেরা শার্ট, টিশার্ট বা প্যান্ট পরতে পারবেন। তবে শাল, জুতো, ঘড়ি, টুপি পরে পরীক্ষার হলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ড এবং কলম ছাড়া কিছু রাখা যাবে না। পরিচয়পত্র হিসাবে আধার বা ভোটার আই কার্ড রাখা যেতে পারে। তবে তা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ চলবে না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা