ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কলেজশিক্ষক সাজিদ হাসানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রী (১৮) বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
এজাহারে তিনি বলেছেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে ‘ক্রনিক ধর্ষণ’ করেছেন।
অভিযুক্ত সাজিদ হাসান দামুড়হুদা উপজেলা সদরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাজিদ হাসান শিক্ষকতার পাশাপাশি শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়ান। ভুক্তভোগী ছাত্রী ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সাজিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।এইচএসসি পাসের পর তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যে বিয়ের কথা বলে সাজিদ হাসান ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
ছাত্রী বিয়ের কথা বললে তিনি নানা টালবাহানা করে এড়িয়ে যান।
সাজিদ হাসানের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, সাজিদ বিবাহিত। তার ৯ ও ৬ বছর বয়সী দুটি মেয়ে আছে। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কখনো দামুড়হুদা, কখনো দর্শনায় বসবাস করেন।
গতকাল রাতে মামলার খবর জানাজানি হলে অভিযুক্ত প্রভাষক সাজিদ হাসান আত্মগোপনে চলে যান। অভিযোগের বিষয়ে জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সাজিদ হাসান যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, সেটার অধ্যক্ষ বলেন, মামলার বিষয়টি তিনি জেনেছেন।
তিনি বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিথি মিত্রকে জানিয়েছেন।
ইউএনও তিথি মিত্র বলেন, মামলার বিষয়টি জানার পর প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং আজকেই জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।